Logo
HEL [tta_listen_btn]

কাঁচপুরে বিএনপি’র পদযাত্রায় পুলিশি এ্যাকশান

নারায়ণগঞ্জে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এসময় পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ টিয়ারগ্যাস ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এতে ২০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি বিএনপির। আহতদের মধ্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহ-সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, সদস্য আজহারুল ইসলাম মান্নান, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সহ-সভাপতি সেলিম মাহমুদ, জেলা জাসাসের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন রানা, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নাহিদ হাসান ভূঁইয়া, সোনারগাঁয়ের মোগরাপাড়া ইউনিয়ন যুবদলের কর্মী আল-আমিন মোল্লা, আড়াইহাজারের মাহমুদপুর ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক মনির হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক জুয়েল আহমেদ, আড়াইহাজার উপজেলার যুবদল কর্মী মো. জহির, রূপগঞ্জের কাঞ্চন পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক দেওয়ান আসিফ, কাঞ্চন ৪নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের সভাপতি মো. জাহিদুলে নাম জানা গেছে। এদের মধ্যে অনেকেই গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে বিএনপির নেতাকর্মীরা জানান। শনিবার (১৯ আগস্ট) বিকেলে কাঁচপুরে কয়েক দফায় এ সংঘর্ষ হয়। বিএনপি নেতাকর্মীদের ধাওয়ায় কয়েক দফা পিছু হটে পুলিশ। এসময় উভয়পক্ষের সংঘর্ষে ঢাকা-সিলেট ও ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিলো। পরে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্যরা এসে টিয়ার সেল ও ফাঁকা রাবার বুলেট ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
জানা যায়, বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে জেলায়-জেলায় শনিবার ছিল পদযাত্রা কর্মসূচি। বিকেল ৩টা থেকে কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান ভূইয়া দিপু, জেলা বিএনপির সেক্রেটারি গোলাম ফারুক খোকন, আড়াইহাজারের মাহমুদুর রহমান সুমন, সিদ্ধিরগঞ্জ বিএনপির নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে কাঁচপুরে জড়ো হতে থাকেন। তবে আগে থেকে মোতায়েন করা পুলিশ সদস্যরা নেতাকর্মীদের রাস্তা থেকে সরে যাওয়ার অনুরোধ করেন। বিকেল সাড়ে ৩টায় এ নিয়ে তাদের মধ্যে তর্কের একপর্যায়ে পুলিশ বেধড়ক লাঠিচার্জ শুরু করলে নেতাকর্মীরা রাস্তা থেকে সরে যায়। পরে বিএনপি নেতাকর্মীরা আবারো লাঠিসোটা নিয়ে জড়ো হয়ে পুলিশের ওপর ইটপাটকেল ছুঁড়তে থাকলে শুরু হয় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। ওই সময়ে পুলিশ টিয়ার সেল ও ফাঁকা রাবার বুলেট ছুঁড়ে। এতে বিএনপি নেতাকর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে চলে যায়। এসময় দলীয় ২০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন জানান, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে রাস্তার পাশে অবস্থান নেয়ার সময়ে পুলিশ এসে অতর্কিত লাঠিচার্জ করেছে। পুলিশ আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর টিয়ার সেল ও গুলি ছুঁড়েছে। এতে অনেকেই আহত হয়েছেন।
জেলা বিএনপির সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ¦ মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন জানান, পুলিশের টিয়ারশেলের কারণে বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদসহ আমাদের ২০ নেতাকর্মী আহত হয়েছে। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুব আলম বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের মহাসড়ক থেকে সরে যেতে বললে তারা আমাদের উদ্দেশ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। আত্মরক্ষার্থে আমরা কয়েক রাউন্ড রাবার বুলেট এবং টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেই।
জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খ-সার্কেল) শেখ বিল্লাল হোসেন জানান, অনুমতি ছাড়াই ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে জেলা বিএনপি পদযাত্রা কর্মসূচি করতে চেয়েছিল। আমরা তাদের বুঝিয়ে মহাসড়ক থেকে সরে যেতে বললে তারা আমাদের উদ্দেশ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। আত্মরক্ষার্থে আমরা কয়েক রাউন্ড রাবার বুলেট এবং টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেই। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Theme Created By Raytahost.Com