ফতুল্লায় নূর ইসলাম (৪২) নামে এক ব্যক্তির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী আসমা এবং ২ শ্যালক শাহজালাল ও মোজাফফরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গ্রেফতার করা হয়েছে। রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ফতুল্লার মধ্য নরসিংপুর এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। একই সঙ্গে ঘটনাস্থল থেকে ধারালো দা ও দড়ি জব্দ করেছে পুলিশ। নিহতের মাথায় আঘাতের চিহ্ন ও গভীর ক্ষত রয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে ফতুল্লা মডেল থানায় নিহতের ভাই মাসুম বেপারী এ মামলা দায়ের করেন। মামলায় আসামী করা হয় নিহতের স্ত্রী আসমা বেগমকে।
নিহত নূর ইসলাম শরিয়তপুর ডামুইডা এলাকার আব্দুল জলিল বেপারীর ছেলে। তিনি পেশায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রী ছিলেন।
স্থানীয়রা জানান, প্রায় ১৮ বছর আগে মধ্য নরসিংপুর এলাকার প্রয়াত গনি মিয়ার মেয়ে আসমাকে বিয়ে করেন শরিয়তপুরের ডামুইডা এলাকার আব্দুল জলিল বেপারীর ছেলে নূর ইসলাম। বিয়ের পরে শ^শুর গনি মিয়া তাদের থাকার জন্য ৪ শতাংশের একটি জমি দেন। সেই জমিতে নিজ খরচে বাড়ি করে পরিবার নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন তিনি। তাদের সংসারে আশরাফুল ইসলাম ও আরশাদুল ইসলাম নামে ২ ছেলে এবং মানসুরা নামে এক মেয়ে রয়েছে।
ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সৈয়দ আজিজুল হক বলেন, ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক কলহের জেরে ধারালো অস্ত্র (দা) দিয়ে নূর ইসলামের মাথায় আঘাত করা হয়েছে। পরে সেটিকে আত্মহত্যা বলে চালানোর জন্য মরদেহটি পাখার সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, ঘটনার সময়ে নিহতের সন্তানরা মাদ্রাসা ও স্কুলে ছিলো। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে নিহতের স্ত্রী ও ২ শ্যালককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গ্রেফতার করা হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সৈয়দ আজিজুল হক জানান, নিহতের ভাই মাসুম বেপারীর দায়ের করা হত্যা মামলায় আদালত থেকে আসমা বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ২ দিনের রিমান্ডে আনা হয়েছে।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।