সোনারগাঁয়ের বারদী ইউনিয়নের নুনেরটেক এলাকায় নির্বাচনী বাগবিতন্ডাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় এক পক্ষের মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) রাতে বারদি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ওসমান গণি বাদি হয়ে এ মামলা করেন। শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) ঘটনার সঙ্গে জড়িত ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলো, আব্দুল মতিন ও রতন মিয়া। তাদের বাড়ি নুনেরটেক গ্রামে। গ্রেফতারকৃতদের নারায়ণগঞ্জ আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। এদিকে সংঘর্ষের ঘটনার উভয়পক্ষ অভিযোগ দায়ের করলেও একপক্ষের মামলা গ্রহণ করে পুলিশ। এরআগে বৃহস্পতিবার সকালে সংঘর্ষে টেঁটাবিদ্ধ হয়ে উভয়পক্ষের ১২ জন আহত হন।
এলাকাবাসী জানান, উপজেলার বারদী ইউনিয়নের নুনেরটেক এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে বারদী ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান সদস্য ওসমান গণি ও ইউপি নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী শুক্কুর মাহমুদের সঙ্গে আধিপত্য নিয়ে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল্লাহ আল কায়সারের নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন নিয়ে বুধবার রাতে নুনেরটেক লালপুরী ওরসে ইউপি সদস্য ওসমান গণির ছেলে মেহেদী হাসান, জাকারিয়ার সঙ্গে শুক্কুর মাহমুদের সমর্থক বাবুলের কথা কাটাকাটি ও তর্ক-বিতর্ক হয়। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উভয়পক্ষের লোকজন টেঁটা, বল্লম, রামদা, হকিস্টিক, লোহার রড ও চাপাতি নিয়ে একপক্ষ অপরপক্ষের ওপর হামলা চালায়। হামলায় ইউপি সদস্য ওসমান গণির পক্ষের রমিজউদ্দিন, মোসলেউদ্দিন, চাঁন বাদশা, বাহাউদ্দিন, স্বপন, মোক্তার, মেহেদী ও শুক্কুর মাহমুদের পক্ষের কামরুল ইসলাম, ওমর আলী আব্দুল হক, হামিদ আলী, দেলোয়ার হোসেন টেঁটাবিদ্ধ হয়ে আহত হন। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে রমিজউদ্দিন ও মোসলেউদ্দিনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন তাদের স্বজনরা। তারা দু’জনেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সংঘর্ষের পর আহত রমিজউদ্দিনের ভাই ওসমাণ গণি ও অপরপক্ষের আহত কামরুল ইসলামের চাচা মো. মনির হোসেন বাদি হয়ে সোনারগাঁ থানায় অভিযোগ করেন। এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওসমাণ গণির অভিযোগটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করে পুলিশ। মামলার পর নুনেরটেক এলাকায় অভিযান চালিয়ে আব্দুল মতিন ও রতন মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়।
সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুব আলম বলেন, হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় একপক্ষের মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। অভিযুক্ত দু’জনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।