শহরের দেওভোগ এলাকায় চারুকলা ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক কনসার্টে নামাজের সময় গান বাজানোর অভিযোগে হামলা চালানো হয়েছে। শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টায় চারুকলা প্রাঙ্গণে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শনিবার দুপুর থেকে চারুকলা প্রাঙ্গণে কনসার্ট ও মিলনমেলার আয়োজন করে এসএসসি-৯৫ ব্যাচ সদস্যদের গ্রুপ ‘ইউনাইটেড ৯৫’। সন্ধ্যার পর থেকে সেখানে শুরু হয় কনসার্ট। নামাজের বিরতিতে ১০ মিনিট গান বন্ধ রেখে ফের চালু হয় কনসার্ট। পরে ডিআইটি মসজিদ থেকে একদল মুরুল্লি এসে গান বন্ধ করার দাবি জানিয়ে প্রতিবাদ করলে কনসার্টের আয়োজকরা গান বন্ধ করে দেন। এর কিছুক্ষণ পরই একদল যুবক এসে কনসার্টে হামলা চালায়। সেখানকার মঞ্চ ও চেয়ার-টেবিল ভাঙার পর পাশে থাকা চারুকলা ভবনের নিচতালায় ভাঙচুর করে। এছাড়া বেশ কয়েকজনকে মারধরও করা হয়। এতে লাঞ্ছিত হন চারুকলা ইনস্টিটিউটের ভেতরে অবস্থান করা বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ইউনাইটেড-৯৫ গ্রুপের একজন সদস্য মিনার বলেন, নামাজের বিরতি দিয়ে আমরা ১০ মিনিট কনসার্ট বন্ধ রাখি। সমস্যা হচ্ছে আশপাশে ৩টি মসজিদ, একেক মসজিদে নামাজের সময় একেক রকম। ফলে এক মসজিদের সময় অনুযায়ী বন্ধ রাখলেও আরেক মসজিদের সময়ের সঙ্গে সেটা মেলেনি। তারপরও মুসুল্লিরা এসে আপত্তি জানালে গান বন্ধ করে দেয়া হয়। কিন্তু এর কিছু সময় পর একদল বখাটে যুবক এসে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। পুরো অনুষ্ঠান পণ্ড হয়ে গেছে।
চারুকলার ছাত্র নাহিয়ান বলেন, ১৪ ফেব্রুয়ারি বসন্ত বরণকে কেন্দ্র করে আলপনা ও নানান নকশা, ফ্রেম তৈরির কাজ চলছিল। হামলাকারীরা মঞ্চ ভাঙচুর করলে একজন কিবোর্ড রক্ষা করতে দৌঁড়ে চারুকলার ভেতর আশ্রয় নেয়ার চেষ্টা করে। সেসময় হামলাকারীরা এসে কিবোর্ড ভাঙচুর করে। তারপর যাওয়ার সময় আমাদের আলপনা, ফ্রেম নষ্ট করে দিয়ে গেছে। আমাদের কয়েকজন বন্ধু বাধা দিতে চাইলে তাদের গায়েও হাত তোলা হয়। এই ঘটনার পর আমরা নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায় আছি।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাৎ হোসেন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আমাদের পুলিশ টিম গিয়েছে। এই বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে কোনো পক্ষই আমাদের কাছে কোনো অভিযোগ দেয়নি।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।