Logo
HEL [tta_listen_btn]

বন্দরে আ’লীগের ওয়ার্ড কমিটি নিয়ে ক্ষুব্ধ ত্যাগীরা

নারায়ণগঞ্জ মহানগরের ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কমিটি ঘোষণা নিয়ে বন্দরের সর্বত্রই পদ বঞ্চিতসহ আওয়ামী নেতাকর্মীদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ও ক্ষোভ দানা বাধতে শুরু করছে। মহানগরের দুই নীতি নির্ধারকের ওয়ান ম্যান শো নেতা সিলেকশনের কারণে বন্দরের ১৯নং হতে ২৭ নং ওয়ার্ড পর্যন্ত সদ্য ঘোষিত কমিটি নিয়ে একরকম ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে বলে পদ বঞ্চিত নেতাকর্মীদের অনেকেই অভিযোগ করেন।
নেতাকর্মীদের অভিযোগ অনুযায়ী বন্দরের ১৯নং হতে ২৭নং ওয়ার্ড পর্যন্ত যে সকল নেতাকর্মী পদ বঞ্চিত হয়েছে তাদের মধ্যে ১৯নং ওয়ার্ডে সভাপতি হিসেবে যাকে দেয়া হয়েছে সে রাজাকারের সন্তান। তার পিতা ইসহাক মিয়া মুক্তযুদ্ধকালীন সোনাকান্দা ইউনিয়ন শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন। এ সংক্রান্তে দেশ বরেণ্য লেখক মুনতাসির মামুনের একটি বইয়ে ইসহাক মিয়ার নাম প্রকাশ পায়। এছাড়া সাধারণ সম্পাদক সাহাবুদ্দিনকে কখনো কোন সভা-সমাবেশে শোডাউন করতে দেখা যায়নি। তার কোন রাজনৈতিক ক্যারিয়ারও নেই।
এ ওয়ার্ডে সোনাকান্দা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও অত্র ওয়ার্ডের সাবেক সভাপতি হাজী আলমগীর হোসেন ও বন্দর থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক ১৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফয়সাল মোহাম্মদ সাগরের নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। দলের প্রতিটি মিটিং মিছিলে তাদের বড় রকমের শোডাউন ও অংশগ্রহণ চোখে পড়ার মতো হয়ে থাকে। সাগরের পিতা ফিরোজ কমিশনারও আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন। আলমগীর হোসেন দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ থেকে মাষ্টার্স কমিপ্লিট করেছেন।
এছাড়া সাবেক যুবলীগ নেতা মাকসুদ হোসেন রলি, রফিকুল ইসলাম রবিসহ হাতে কয়েকজন এই ওয়ার্ডের আওয়ামী রাজনীতিতে নিবেদিত। ২০নং ওয়ার্ডে সভাপতি সোহেল করিম রিপন বংশ পরমপরায় আওয়ামী লীগ। তার বিরুদ্ধে কারো কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে সাধারণ সম্পাদক নিয়ে রয়েছে অভিযোগের পাহাড়। তার রাজনীতির বয়স ৪ বছরের কম হলেও খোকন সাহার আস্থাভাজন হওয়ার সুবাদে তাকে টাকার বিনিময়ে ওই পদ দেয়া হয়েছে। এ ওয়ার্ডে আসাদুজ্জামান খোকনের ভাই ডাঃ শফিউল্লাহ দীর্ঘ দিন ধরে আওয়ামী ঘরনার রাজনীতিতে সম্পৃক্ত থাকলেও খোকন যেন এসেই জয় করে নিলো। অন্যদিকে সহিদুল হাসান মৃধা, রাজনীতির ইতিহাসে তার পরিবারের অধিকাংশ সদস্যই আওয়ামী লীগের দুর্দিনে অগ্রণী ভূমিকা পালণ করেছেন। তার বাবা চাচারা সবাই আওয়ামীলীগকে হৃদয়ে আকড়ে রেখেছেন।
এছাড়া একই ওয়ার্ডে যুবলীগ নেতা মোয়াজ্জেম হোসেনও একজন উচ্চ শিক্ষিত এবং সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান। তাকেও গুরুত্ব দেয়া হয়নি এ পদে। খোকন অশিক্ষিত বর্বও যে কোনভাবেই এই পদের জন্য ফিট নন। তাকেই দেয়া হয়েছে এই ওয়ার্ডের গুরুত্বপূর্ণ পদ। খোকনকে সাধারণ সম্পাদক দেয়াটা হঠকারী সিদ্ধান্ত বলে জানান অনেকেই।
২১নং ওয়ার্ডে সভাপতি সালাউদ্দিন ও মনিরুজ্জামান খোকন তারা দু’জনই নতুন। সালাউদ্দিন বন্দর শাহী মসজিদ এলাকায় সিটি কর্পোরেশনের রাস্তা দখল করে টং দোকান চালায়। তার শিক্ষাগত যোগ্যতাও গুরুত্ব দেয়ার মতো নয়। আর মনিরুজ্জামান খোকন রূপালী আবাসিক এলাকায় ভাড়া থাকেন। তার পৈত্রিক নিবাস কলাগাছিয়া ইউনিয়নের ছনখোলা এলাকায়।
রাজনীতিবিহীন পরিবার থেকে উঠে আসা ছন্নছাড়া ব্যক্তি মনিরুজ্জামান খোকন। খোকন সাহার উত্তরসূরী হওয়ার প্রেক্ষিতেই তাকে ওই পদে আসীন করা হয়। মনিরুজ্জামান খোকন মূলতঃ কলাগাছিয়া ইউনিয়নের ছনখোলা এলাকার বাসিন্দা। তার পরিবারের কোন সদস্য কখনো আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততা ছিলেন না। বর্তমানে ২১নং ওয়ার্ডের রূপালী আবাসিক এলাকায় স্বপরিবারে বসবাস করছেন। তার শ্বশুর নাজিম উদ্দিন নারায়ণগঞ্জ মহানগরের ১৫নং ওয়ার্ডের জামায়াতে ইসলামীর আমীর দায়িত্ব পালণ করছেন। কিছুদিন আগে সে পুলিশের হাতে জ্বালাও-পোড়াও মামলায় গ্রেফতার হন।
এই ওয়ার্ডেও দলীয় পদের জন্য ত্যাগীদের অনেকেই প্রত্যাশী ছিলেন। বিশেষ করে বন্দর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল হাসান আরিফ, বন্দর থানা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল করিম রাজা, ইঞ্জিনিয়ার আলী আজহার তৌফিক, কাউন্সিলর শাহিন মিয়ার নাম উঠে আসে। নাজমুল হাসান আরিফ তৃনমূল থেকে উঠে আসা পরীক্ষিত নেতা। বিভিন্ন সভা মঞ্চে নাজমুল হাসান আরিফকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে দেখা যায়। ব্যক্তিগত জীবনে উচ্চ শিক্ষিত এবং মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য।
২২নং ওয়ার্ডে বন্দর পৌর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, অত্র ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি এবিএম আমিরুল ইসলাম,থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জাকির হোসেনকে বাদ দিয়ে কাজী শহীদকে সভাপতি এবং গোলাম সারোয়ার সবুজকে পদ দেয়া হয়েছে। কাজী শহীদ রাজনীতিতে কিছুটা জড়িত থাকলেও গোলাম সারোয়ার সবুজ রাজনীতিতে একবারেই নতুন। খান মাসুদের হাত ধরেই রাজনীতিতে প্রবেশ। এসেই সে পদ পেয়ে যাওয়ার বিষয়টি পরিস্কার। মোটা অংকের টাকা লেনদেন হয়েছে বলে অনেকেই মনে করেন।
২৩নং ওয়ার্ডের মাহাবুবুর রহমান কমল যদিও আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে জড়িত কিন্তু মূল দলের সভাপতির পদে আসীন হওয়ার মতো যোগ্যতাসম্পন্ন নয়। মশি উর রহমান সুজু নিজে ওয়ান ম্যন শো। সে নিজেই নেতা নিজেই কর্মী। দলের কর্মকান্ডে তার কোন শো-ডাউন চোখে পড়েনা।
এই ওয়ার্ডে সামসুজ্জামান জামান, কুদ্দুস মৃধা, শাহনেওয়াজ রাহাত ও বীরমুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলামের মতো জাদরেল নেতা থাকতে তাদের মতো নতুনদের হাতে দলের দায়িত্ব অর্পণ করা বেমানান। কত টাকার বিনিময়ে আকিজের ঠিকাদার মাহাবুবুর রহমান কমলকে খোকন সাহা এবং মশিউর হমান সুজুকে আনোয়ার হোসেন ওই পদ দিয়েছেন এমন প্রশ্ন সবার মাঝেই ঘুরপাক খাচ্ছে।
২৪নং ওয়ার্ডে সভাপতি করা হয়েছে বুলবুল নামে সাধারণ একজন নাইটগার্ড। সাধারণ সম্পাদক জনিকে নিয়ে এই ওয়ার্ডের নেতারা বিরোধীতা না করলেও ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র উপেক্ষা করে তাকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে বলে মতামত ব্যক্ত করেন। অবমূল্যায়িত করা হয়েছে প্রবীণ রাজনীতিবিদ হাজী সামাদকে যিনি দীর্ঘ দিন ধরে সেই
কদমরসুল পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক-সভাপতি থেকে শুরু করে। অত্র ওয়ার্ডের সভাপতিত্বও করেছেন তিনি। কিন্তু এবারের কমিটি প্রক্রিয়ায় কূটচালে বাদ পড়ে যান তিনি। ২৫নং ওয়ার্ডে যাকে আওয়ামী রাজনীতির পুরোধা বলা হয় সেই মোঃ শাহ আলমকেও বাদ দেয়া হয়েছে নতুন কমিটি থেকে। তার স্থলে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে ইউসূফ নামে জনৈক ব্যক্তিকে। ইউসূফের রাজনৈতিক খতিয়ান খুবই সংক্ষিপ্ত। তার পূর্ব পুরুষদের কেউই এই ঘরনার রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন না।
এই ওয়ার্ডে আরো বেশ কয়েকজন নেতা রয়েছে যাদের নাম না বললেই নয়,যথাক্রমে জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক শহীদুল্লাহ মাষ্টার,এড. আল আমিন মোল্লাসহ আরো অনেক নেতাকর্মীই রয়েছেন।
২৬নং ওয়ার্ডে আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মী বেশ কয়েকজনের নাম উঠে আসলেও তাদের মধ্য থেকে মোহাম্মদ হোসেন নামে যে ব্যক্তিকে সভাপতি করা হয়েছে সে খুব একটা পরিচিতও নন শুধুমাত্র মহানগর আওয়ামীলীগ সভাপতি-সেক্রেটারীর শুভাকাঙ্খী বিধায় তাকে ওই পদে ভূষিত করা হয়। সর্বশেষ ২৭নং ওয়ার্ডে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে দুই মামা-ভাগিনাকে। মামা ইসলাম পলু এবং ভাগিনা তারা উভয়েই দলের জন্য নিবেদিত নন অনেকটা সুবিধাবাদী। ইসলাম পলু ১বছর আগেও সৈনিকলীগ সৈনিকলীগ করে মুখে ফেনা তুলে ফেলতেন।
আর এড. মামুন সিরাজুল মজিদ শুধুমাত্র মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের আর্শীবাদপুষ্ট হওয়ায় তাকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। অথচ এই ওয়ার্ডে বাদ দেয়ায় হয় নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২৭নং ওয়ার্ডের দুই দুইবারের নির্বাচিত কাউন্সিলর এবং ধামগড় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সিরাজুল ইসলামকে। যা ইতিহাসে এটি কলংকজনক অধ্যায় হয়ে থাকবে।
এ ব্যাপারে বন্দর থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো. জাকির হোসেন জানান, তৃনমূলকে অবমূল্যান করা হয়েছে। ১৯৮৫সাল হতে ৩৮ হতে ৩৯ বছর ধরে রাজনীতি করে আসছি। ১৯৮৫ সালে এডমিশনের মধ্য দিয়ে ছাত্রলীগে পদার্পন। ৮৬ সালের জুন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি, ৯০ সালে সভাপতি। ২০ বছর পর কমিটি থেকে আমাদেরকে বাদ দেয়া হয়।
আনোয়ার হোসেন এবং খোকন সাহা টাকার বিনিময়ে উক্ত কমিটির দায়িত্ব নিয়ে যোগ্যদের বঞ্চিত করে অযোগ্যদের পদে আসীন করেছে। জননেত্রী শেখ হাসিনার আওয়ামীলীগকে ধ্বংস করতে আনোয়ার হোসেন এবং খোকন সাহা মাইম্যানের রাজনীতি শুরু করেছে। তারা দলের জন্য ভীতিকর। আমি জননেতা একেএম শামীম ওসমানের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
মহানগর আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ূন কবির মৃধা জানান, সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি হওয়ার কথা ছিল। সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক সাংগঠনিক আলোচনাতেই বলেছেন যেহেতু আমরা ভোট দিতে পারিনি সেহেতু সবাই বসে ভোটের মাধ্যমে কমিটি করা হবে। ১৭ জন সভাপতি ও ১৩ জন সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ছিল। জিএম আরমানের বাড়িতে বসে কমিটি করা হয়েছে।
কৌশলে তারা কমিটি ডিক্লিয়ার দিয়েছে। এই কমিটিতে রাজাকারের সন্তান এবং মুক্তিযোদ্ধা হত্যাকারীর সন্তানকে নতুন কমিটিতে রাখা হয়েছে। যেহেতু আমাদের কমিটির মেম্বার জননেতা একেএম শামীম ওসমান আমি তার হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
২৫নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি মহানগরের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক রাজনীতি ভুলে গেছেন। তা না হলে যেই ইউসূফ কোনদিন কখনো আওয়ামী রাজনীতির কর্মকান্ডে দেখা যায়নি। বরং সে গতবারের আগেরবারের নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থীর পক্ষে সরাসরি কাজ করেছে।
বন্দর থানা আওয়ামীলীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক সহিদুল হাসান মৃধা জানান, মহানগরের ওয়ার্ড কমিটি সম্পূর্ণ উচ্ছিষ্টদের নিয়ে করা হয়েছে। যারা এই কমিটি সেন্ট্রালে সাবমিট করেছে তারা আওয়ামীলীগের জাত শত্রু। ঘরের শত্রু বিভীষন। তাদের কাছে আওয়ামীলীগ কোনভাবেই নিরাপদ নয়।
২০নং ওয়ার্ডে যাকে সভাপতি করা হয়েছে তার বিরুদ্ধে আমার কোন আপত্তি নেই। কেননা তার পূর্ব পুরুষেরা এবং সে আওয়ামী পরিবারের। ব্যক্তি হিসেবেও সে গ্রহণযোগ্য। সাধারণ সম্পাদক নিয়ে আমার ঘোর আপত্তি সে একজন চাঁদাবাজ। শ্রমিক কমিটির নামে এখনো সে মদনগঞ্জ বাসষ্ট্যান্ডে প্রকাশ্যে চাঁদাবাজী করে তার শ্যালক সোহেল রানাকে দিয়ে। এর আগে সে নদীপথে চাঁদাবাজী করতো। তার রাজনীতির কোন পরিচিতি নেই। খোকন সাহার পিছনে পিছনে ঘুরে সে পদ পেয়েছে। আমরা এই কমিটি মানিনা। আমি ভূয়া এই কমিটির বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সেই সাথে আমাদের সেন্ট্রাল আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দসহ প্রাণপ্রিয় নেতা একেএম শামীম ওসমানের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। ২৪নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি ও কদমরসুল পৌর যুবলীগের সাবেক সভাপতি হাজী সামাদ বলেন,৮৬ সাল হতে রাজনীতি করে আসছি।
কদমরসুল পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক থেকে সভাপতি ছিলাম। এবার যে কমিটি হয়েছে তা সম্পূর্ণ মনগড়া। যেই ছেলেকে আমি নিজেকে তৈরি করেছি সেই ছেলেকে দেয়া হয়েছে সাধারণ সম্পাদক। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের গঠনতন্ত্রেও রয়েছে ছাত্রলীগ থেকে সরাসরি কেউ মূল দলের পদে যেতে পারবেনা। অথচ এখানে তাই করা হয়েছে।
সভাপতি দেয়া হয়েছে যাকে তাকে কোন রাজনৈতিক সূত্রিতায় দেয়া হয়েছে আমি জানতে চাই। আন্দোলন সংগ্রামে তার কি কি অবদান রয়েছে। কমিটি যা হয়েছে তা অর্থের বিনিময়ে হয়েছে। অর্থের বিনিময়ে না হলে এমন কমিটি হওয়ার কথা না।
বন্দর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল হাসান আরিফ বলেন, মহানগরের ওয়ার্ড কমিটিতে ত্যাগীদের বাদ দিয়ে মাইম্যান মাইম্যান কমিটি করা হয়েছে। যা একেবারেই হাস্যকর। বর্তমান পদপ্রাপ্তদের কাউকেই আওয়ামীলীগের সদ্য অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আওয়ামীলীগের কোন প্রার্থীর পক্ষে কাজ করতে দেখা যায়নি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Theme Created By Raytahost.Com