ফুটপাতে বসে অবৈধভাবে দোকানের পসরা সাজিয়ে পণ্য বিক্রয়ের কোন সুযোগ নেই। বিষয়টি শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) জেলা হকার্স সংগ্রাম পরিষদের এক প্রতিনিধি দলের সাথে দীর্ঘ ২-৩ ঘন্টার আলোচনাকালে উত্থাপন করেন নারায়ণঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমান এমপি। আলোচনাকালে হকার্সরাও একমত পোষণ করেন যে, জনগণের চলাচলের পথে বিঘ্ন ঘটিয়ে কোন অবৈধ ব্যবসায়িক কার্যক্রম চালাতেও তারা আগ্রহী নয়। তাই তারা তাদের পুনর্বাসনের জন্য এমপি মহোদয়ের হস্তাক্ষেপ কামনা করেন।
প্রত্যুত্তরে সেলিম ওসমান বিষয়টির কাঠামোগত জটিলতা তুলে ধরে তাদেরকে একটি সঠিক তালিকা প্রণয়নের অনুরোধ জানান। কারণ সঠিক তালিকা ব্যতিরেকে পুনর্বাসন প্রক্রিয়াটির কাঠামোগত বিষয়টি সম্পাদন করা সম্ভবপর হবে না। তাছাড়া এ ধরনের প্রক্রিয়ায় যে সব জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন, তাদের সকলকে নিয়ে আলোচনা করেই পরবর্তী পুনর্বাসন প্রক্রিয়া সাজাতে হবে। অন্যথায় পুরো বিষয়টি মুখ থুবড়ে পরবে। তাই সেলিম ওসমান হকার্স সংগ্রাম প্রতিনিধি দলকে যত দ্রুত সম্ভব একটি সঠিক তালিকা প্রণয়ন করে তাকে প্রদান করার অনুরোধ জানান যাতে তিনি অন্যান্য জনপ্রতিনিধিদের সাথে নিয়ে ধাপে ধাপে উক্ত প্রক্রিয়াটি এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেন। সামনে রমজান মাস বিবেচনায় নিয়ে হকার্স সংগ্রাম পরিষদের নেতৃবৃন্দ দ্রুততম সময়ের মধ্যে একটি সঠিক তালিকা প্রণয়নের প্রতিশ্রুতি দেন। তবে সঠিক তালিকা না হওয়া পর্যন্ত এবং এর পরবর্তী পুনর্বাসন কাঠামোটি নির্ধারিত না হওয়া পর্যন্ত তারা (হকার্সরা) রাস্তায়, ফুটপথে অবৈধভাবে দোকান না বসানোর বিষয়টি সেলিম ওসমান এমপিকে পুনরায় আশ্বস্ত করেন। একই সাথে তারা কোন ধরনের আন্দোলন, সংগ্রাম না করে, বরং টেবিলে বসে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের প্রতিশ্রুতি দেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা হকার্স সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি রহিম মুন্সী, আহবায়ক আসাদুল ইসলাম আসাদ, দপ্তর সম্পাদক লিয়াকত আলী রানাসহ অন্যান্য নেতাকর্মী।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।