‘দেশ বাঁচাও, মানুষ বাঁচাও’ শিরোনামে সারা দেশে লিফলেট বিতরণ কর্মসূচির অংশ হিসেবে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আওতাধীন সদর থানা বিএনপির উদ্যোগে শহরে গণসংযোগ করে সাধারণ পথচারি, মার্কেটের দোকানদার ও রিকশা চালকদের মাঝে লিফলেট বিতরণ করেছে নেতৃবৃন্দ। রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টায় কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে ডিআইটি বাণিজ্যিক এলাকা থেকে শুরু হয়ে বঙ্গবন্ধু সড়কের ডিআইটি মার্কেট, মন্ডলপাড়া জিমখানার মোড় দিয়ে ২নং রেলগেট হয়ে ১নং গেট দিয়ে শহরের বিভিন্ন স্থানে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। এসময় ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনকে ‘ডামি’ আখ্যায়িত করে তা বাতিলের দাবি ছাড়াও সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে অবাধ নির্বাচন দাবি এবং সরকারের পদত্যাগ ও নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও ভারত-বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে বাংলাদেশী হত্যার প্রতিবাদে সেøাগান দেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।
সদর থানা বিএনপির সভাপতি মাসুদ রানার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এড. এইচ এম আনোয়ার প্রধানের সভাপতিত্বে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু। বিশেষ অতিথি ছিলেন, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এড. সরকার হুমায়ূন কবির ও যুগ্ম আহ্বায়ক মনির হোসেন খান।
লিফলেট বিতরণ শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, আমাদের মূল স্লোগান হচ্ছে ‘দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও’। আমরা এই সরকারের নতজানু পররাষ্ট্র নীতির কঠোর সমালোচনা করছি এবং তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। সাম্রাজ্যবাদী শক্তির ইশারায় এবং এই সরকারের ব্যর্থতায় বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তে নিরীহ বাংলাদেশীদের গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে। দ্রব্যমূল্য বাড়তে বাড়তে সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। আসন্ন মাহে রমজানে এটা কোথায় গিয়ে দাঁড়ায় তা ভাবতেই ভয় লাগছে। তাই আমরা সীমান্তে হত্যা এবং অস্বাভাবিক দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে এবং ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত ড্যামি পাঁতানো নির্বাচন বাতিল করে একটি সুষ্ঠু অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের দাবিতে জনগণকে সচেতন করার লক্ষ্যে লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালন করছি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য বরকত উল্লাহ, বন্দর থানা বিএনপির সভাপতি শাহেনশাহ আহম্মেদ, বিএনপি নেতা শেখ সেলিম আহমেদ, আলমগীর খান চঞ্চল, নাজমুল হক, আবুল হোসেন রিপন, জাবেদ হোসেন, কাজী নাঈম, মাসুম মিয়া, শিবলী সাদিক শিপলু, সাইফুল ইসলাম বাবু, উজ্জ্বল সরদার, নাসির উল্লাহ টিপু, শিবু দাস, সানোয়ার হোসেন, গোগনগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন মিয়াজী, মহানগর যুবদল নেতা রাফি উদ্দিন রিয়াদ, অদুদ সাগর, সম্রাট হাসান সুজন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক হামিদুর রহমান সুমন, সদস্য রুবেল কিবরিয়া, মহানগর ওলামাদলের সভাপতি হাফেজ মামুনসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।