কর্তৃপক্ষের দায়িত্বহীনতা এবং অব্যবস্থাপনার কারণে বন্দরের বিভিন্ন কেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষার্থীরা বিড়ম্বনার শিকার হয়েছে। ইংরেজি প্রথম পত্রের পরীক্ষা ছিল মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি)। আগের দু’টি পরীক্ষার চাইতে দিনটি ছিল কিছুটা ভিন্নতর। পরীক্ষার্থীরা কেন্দ্রের প্রবেশমুখে কড়া তল্লাশির সম্মুখীন হয়। তাদের সাথে কোন ডিভাইস আছে কিনা তা পরীক্ষার জন্যই এই তল্লাশি। একজন একজন করে পরীক্ষার্থী প্রবেশ করানোর ফলে বাইরে বিশাল ভিড় জমে যায়। এলাকার সবচেয়ে প্রাচীণ এবং বৃহত্তম কেন্দ্র বিএম ইউনিয়ন স্কুল এন্ড কলেজে গিয়ে দেখা যায়, একটি মাত্র গেট দিয়ে শিক্ষার্থীদের প্রবেশ করানো হচ্ছে। একাধিক প্রবেশ পথের ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও তা ব্যবহার করা হয়নি। পার্শ্ববর্তী গার্লস স্কুল এন্ড কলেজে দু’টি প্রবেশ পথের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। নির্ধারিত সময়ে সবাই প্রবেশ করতে না পারায় অভিভাবকগণ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। পরীক্ষা শুরুর ১৫ মিনিট আগেও দেখা যায় বাইরে বিশাল ভিড় যার সবই পরীক্ষার্থী। একপর্যায়ে গুজব ছড়িয়ে পড়ে মেয়েদের হিজাব না খুলে ভিতরে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। এ বিষয়ে যথাযথ ব্যাখ্যা দেয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের কাউকে অকুস্থলে পাওয়া যায়নি। সচেতন কিছু ব্যক্তির উদ্যোগে অভিভাবকদের বোঝানো হয় হিজাব খোলার কথা বলা হয়নি বরং কান দু’টো যাতে উন্মুক্ত রাখা যায় সেই ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। অত্যন্ত স্পর্শকাতর বিষয়টি নিঃসন্দেহে বড় কোন অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণ হতে পারতো। পরীক্ষার হলে প্রবেশে বিলম্ব হওয়ায় অভিভাবকগণ একপর্যায়ে ক্ষিপ্ত এবং মারমুখী হয়ে ওঠেন। প্রধান ফটক ভাঙার উদ্যোগও একসময় কিছু কিছু অভিভাবকের মধ্যে পরিলক্ষিত হয়। এত কিছু হওয়া সত্ত্বেও দায়িত্বশীল কেন্দ্র কর্তৃপক্ষের কেউ প্রধান প্রবেশ পথে এসে অভিভাবকদের বোঝানোর বা কোন ব্যবস্থা গ্রহণের দায়িত্ববোধ করেননি যা সত্যিই খুব দুঃখজনক। কেন্দ্র কর্তৃপক্ষের আরো সচেতন এবং দায়িত্বশীল হওয়া প্রয়োজন বলে সচেতন মহল মনে করেন। এমন অবস্থার পুনরাবৃত্তি রোধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে ভবিষ্যতে আরও বড় ধরনের অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি হতে পারে।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।