বন্দরে যাত্রীবাহী প্রাইভেটকার ও অজ্ঞাতনামা গাড়ি সংঘর্ষে জামাতা নিহত ও প্রবাসী শ্বশুর গুরুত্বর আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৫টা ১০ মিনিটে বন্দর থানার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কেওঢালাস্থ চট্টগ্রামমুখী লেনে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। নিহত জামাতা মোহাম্মদ উল্ল্যাহ সিকদার (৩৫) কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দী থানার বারপাড়া এলাকার মোবারক সিকদারের ছেলে। আহত শ্বশুর সিদ্দিকুর রহমান (৫৫) চাঁদপুর জেলার দাউদকান্দি থানার ইটাখলা এলাকার রনি মেম্বারের ছেলে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে কাঁচপুর হাইওয়ে থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থল এসে নিহতের লাশ উদ্ধারসহ আহত প্রবাসী সিদ্দিকুর রহমানকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। এসময় পুলিশ দুর্ঘটনা কবলিত ঢাকা মেট্রো গ-১১-৬৮৩৩ নাম্বারের একটি প্রাইভেটকার জব্দ করে। এ ব্যাপারে নিহতের বড় চাচা বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মজিদ সিকদার বাদি হয়ে মঙ্গলবার দুপুরে বন্দর থানায় অজ্ঞাত চালককে আসামী করে বন্দর থানায় সড়ক দুর্ঘটনা আইনে মামলা দায়ের করেছেন।
তথ্য সূত্রে জানা গেছে, চাঁদপুর জেলার কচুয়া থানার বাড়িপাড়া এলাকার রনি মেম্বারের ছেলে সিদ্দিকুর রহমান জীবিকার তাগিদে মালেশিয়া বসবাস করে আসছিলেন। দীর্ঘদিন প্রবাসে থাকার পর মঙ্গলবার সকালে সিদ্দিকুর রহমান দেশে ফিরে। শ্বশুর আসার খবর পেয়ে জামাতা মোহাম্মদ উল্ল্যাহ সিকদার মঙ্গলবার সকালে প্রবাসী শ্বশুরকে নিয়ে ঢাকা বিমান বন্দর থেকে প্রাইভেটকার যোগে আসার পথে বন্দরের কেওঢালা এলাকায় বেপরোয়া গতিতে আসা অজ্ঞাতনামা একটি গাড়ি প্রাইভেটকারটিকে ধাক্কা দিলে মহাসড়কের পাশে থাকা বিদ্যুতের খুঁটির সাথে ধাক্কা লাগে। ঘটনাস্থলেই জামাতা মোহাম্মদ উল্লাহ সিকদার নিহত হয় ও তার শ্বশুর সিদ্দিকুর রহমান মারাত্মকভাবে আহত হয়। এই ঘটনায় নিহতের স্বজনরা কাঁচপুর হাইওয়ে থানা পুলিশের নিকট বিনা ময়নাতদন্তে লাশ দাফনের অনুমতি চেয়ে লিখিতভাবে আবেদন করলে উল্লেখিত প্রশাসন মানবিক দিক বিবেচনা করে উপস্থিত সাক্ষীদের সামনে নিহতের লাশ তার স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করে। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ঘাতক চালক দুর্ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।