Logo
HEL [tta_listen_btn]

এমপি সেলিম ওসমানের ব্যতিক্রম আয়োজন

২০ ফেব্রুয়ারি শোক ও বেদনার দিন ওসমান পরিবারের সদস্যদের জন্য। ১৯৮৭ সালের এই দিনে ওসমান পরিবারের ছেলে, সাবেক সংসদ সদস্য ও বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ট সহচর একেএম সামসুজ্জোহা মৃত্যুবরণ করেছেন। প্রতি বছর এই দিনে পবিত্র কোরআন খানি, কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও জিয়ারতের পাশাপাশি পরিবারের পক্ষ থেকে নানা কর্মসূচি পালন করা হয়। কিন্তু এবার এসব আয়োজনের পাশাপাশি এক ব্যতিক্রম উদ্যোগ নিয়েছেন একেএম সামসুজ্জোহার মেঝো ছেলে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমান।
সেলিম ওসমান বাবা সামসুজ্জোহার মৃত্যুবার্ষিকীতে খরচ করার অর্থ দিয়ে বন্দর উপজেলার মাহমুদ নগর এলাকায় অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ৩টি পরিবারে আর্থিক সহায়তা করেছেন। মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) নগরীর চাষাঢ়া হীরা মহলে আয়োজিত বাবা একেএম সামসুজ্জোহার মৃত্যুবাষির্কী উপলক্ষে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে ওই সহায়তা নিজ হাতে তুলে দেন এই সংসদ সদস্য।
এসময় অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ৩টি পরিবারের সদস্যদের ৪টি ঘর নির্মাণের জন্য ওমর ফারক, জজ মিয়া, রুবেল ও শফিক মিয়ার কাছে ৫ লাখ টাকার চেক তুলে দেন এমপি সেলিম ওসমান। এরআগে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ ৩ পরিবারে এমপি সেলিম ওসমানের নির্দেশে সানাউল্লাহ সানু ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সালিমা হোসেন শান্তা সশরীরে মাহমুদনগর কলাবাগান এলাকায় গিয়ে তাদের খোঁজ-খবর নেন। একই সাথে তাদের ৪০ দিনের আহারের জন্য ৩ বস্তা চাল, ১৫ কেজি ডাল, ১৫ কেজি তেল, ১৫ কেজি আলু, ১৫ কেজি পিঁয়াজ, ৩ কেজি সিম, ৩ কেজি কাঁচা মরিচ, ৩ কেজি আদা, ৩ কেজি রসুনসহ প্রায় ৩৫ হাজার টাকার মুদি মাল উপহার স্বরূপ দেন। এছাড়া বাবার মৃত্যুবার্ষিকীতে খানপুর দারুস সালাম এতিমখানা, খানপুর দারুন নাঈম মাদ্রাসা, গলাচিপা গাউছিয়া সুন্নিয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানা, শীতলক্ষ্যা মাদ্রাসা ও এতিমখানা এবং নবীগঞ্জ ইসলামিয়া আলীম মাদ্রাসায় রাতে ভালো মানের রান্না করা খাবার বিতরণ করেন।
সেলিম ওসমান বলেন, বাবার মৃত্যুবাষিকীতে সব সময় বড় আয়োজন থাকে। এবার ভেবেছি বাবার জন্য আমরা যেই আয়োজন করে থাকি, সেই টাকাগুলো দিয়ে বন্দরে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ৩টি পরিবারের সহায়তা করবো। তাই আজকে তাদের হাতে ৫ লাখ টাকার চেক তুলে দিয়েছি। উনাদের কাছে আমার মা-বাবার জন্য দোয়া চেয়েছি। বাবার মৃত্যুবার্ষিকীতে এতিমখানা ও মাদ্রাসায় রাতে ভালো মানের রান্না করা খাবারের আয়োজন করেছি।
উল্লেখ্য, ১১ ফেব্রুয়ারি বন্দর মাহামুদনগর কলাবাগ এলাকায় বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ৩টি বসত ঘর পুড়ে যায়। ফায়ার সার্ভিস খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে এলাকাবাসীর সহায়তায় প্রায় ৩০ মিনিট চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এরপর ১৪ ফেব্রুয়ারি বন্দর উপজেলা পরিষদের এক সভায় তাদের খবর জানতে পেরে তাৎক্ষণিক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সানাউল্লাহ সানুকে নির্দেশ দিয়ে খাদ্য সহায়তা পাঠান। পরে ১৬ ফেব্রুয়ারি অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ সেই বাড়িতে সেলিম ওসামন সশরীরে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের লোকদের সাথে কথা বলেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Theme Created By Raytahost.Com