বন্দরে ১০ বছরের এক কিশোরীকে জোরপূর্বক ধর্ষণের ঘটনার ৯ দিন পর অবশেষে ভাড়াটিয়া লম্পট ধর্ষক সেলিম মিয়া (৩৫) কে গ্রেফতার করেছে বন্দর ফাঁড়ি পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাতে বন্দর থানার র্যালি আবাসিক এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ধর্ষক সেলিম মিয়াম রাজশাহী জেলার চন্দ্রিমা থানার শিরইল কলোনী এলাকার মৃত আব্দুল হালিম মিয়ার ছেলে। বর্তমানে সে বন্দর র্যালি আবাসিক ৩নং গলি এলাকার নূর আলম মিয়ার ভাড়াটিয়া বলে জানা গেছে। ধর্ষক সেলিমকে শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। এরআগে ১৪ ফেব্রুয়ারি বেলা ১১টায় বন্দর র্যালি আবাসিকস্থ নূর আলম মিয়ার ভাড়াটিয়া বাড়িতে এ ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় ধর্ষিতা কিশোরীর পিতা শাহীন মিয়া বাদি হয়ে শুক্রবার সকালে লম্পট সেলিম মিয়াকে আসামী করে বন্দর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ভিকটিমকে উদ্ধার করে শুক্রবার দুপুরে ২২ ধারায় আদালতে প্রেরণ করেছে।
জানা গেছে, মামলার বাদি শাহিন মিয়া ও তার পরিবার দীর্ঘদিন ধরে বন্দর র্যালি আবাসিক এলাকার লিটন মিয়ার ভাড়াটিয়া বাড়িতে বসবাস করে আসছে। প্রতিদিনের ন্যায় ১৪ ফেব্রুয়ারি বেলা সাড়ে ১০টায় শাহীন মিয়ার ১০ বছরের অবুঝ কিশোরী তাদের ভাড়াটিয়া বাসার সামনে খেলা করার সময় একই এলাকার নূর আলম মিয়ার ভাড়াটিয়া লম্পট সেলিম মিয়া কিশোরীকে ডেকে নিয়ে দোকানে পাঠায় সিগারেট আনার জন্য। পরে অবুঝ কিশোরী তার কথা মতে দোকান থেকে সিগারেট নিয়ে সেলিম মিয়ার ভাড়াটিয়া ঘরে গেলে ওই সময় সেলিম মিয়া উক্ত কিশোরীকে কুপ্রস্তাব দেয়। এতে সে রাজি না হওয়ায় লম্পট সেলিম মিয়া ওই কিশোরীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।