Logo
HEL [tta_listen_btn]

পবিত্র শবে বরাত কাল

আগামীকাল রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) পবিত্র লাইলাতুল বরাত বা নিসফে শাবান। উপমহাদেশে এই রাতকে ‘শবে বরাত’ বলা হয়। শাবান মাসের ১৪ ও ১৫ তারিখের মধ্যবর্তী রাতে পালিত মুসলিমদের গুরুত্বপূর্ণ রাত এটি।
পবিত্র কুরআনে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেছেন, ‘হা-মিম! শপথ সুস্পষ্ট কিতাবের। আমি তো ইহা অবতীর্ণ করেছি এক মোবারক রজনীতে, আমি তো সতর্ককারী। এই রাতে প্রত্যেক প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয় স্থিরকৃত হয় আমার আদেশক্রমে, আমি তো রাসুল প্রেরণ করে থাকি, তোমার প্রতিপালকের অনুগ্রহ স্বরূপ, তিনি তো সর্বশ্রোতা সর্বজ্ঞ। যিনি আকাশমন্ডলী, পৃথিবী ও এই দুইয়ের মধ্যবর্তী সবকিছুর প্রতিপালক, যদি তোমরা নিশ্চিত বিশ্বাসী হও’। (সুরা-৪৪ দুখান, আয়াত: ১-১২)
আয়াত প্রসঙ্গে সাহাবি হজরত ইকরিমা (রা.) বলেছেন, এই আয়াতে যেই মোবারক রজনীর কথা বলা হয়েছে, তা হলো শবে বরাত বা শাবান মাসের মধ্যরাত। (মাআরিফুল কোরআন)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যখন শাবানের মধ্য দিবস আসে, তখন তোমরা রাতে নফল ইবাদত ও দিনে রোজা পালন করো। (ইবনে মাজাহ)
তাই এই রাতে একজন মুমিন বিভিন্ন উপায়ে ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহর প্রিয় বান্দাদের একজন হতে পারেন। আর ইবাদতের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হলো নামাজ। নফল ইবাদতের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হলো নফল নামাজ। প্রতিটি নফল ইবাদতের জন্য তাজা অজু বা নতুন অজু করা মুস্তাহাব। বিশেষ ইবাদতের জন্য গোসল করাও মুস্তাহাব। ইবাদতের জন্য দিন অপেক্ষা রাত শ্রেয়তর। রাতের নিয়মিত নফল ইবাদতের মধ্যে রয়েছে বাদ মাগরিব ৬ থেকে ২০ রাকাত আউয়াবিন নামাজ।
রাতের শ্রেষ্ঠতম ইবাদত হলো তাহাজ্জুদ নামাজ। (কোরআনুল কারিম, পারা: ১৫, সুরা-১৭ ইসরা-বনি ইসরাইল, আয়াত: ৭৯)। এছাড়া সালাতুস তাসবিহ এবং অন্যান্য নফল নামাজ আদায় করা যায়। এর পাশাপাশি কুরআন তেলওয়াত এবং জিকিরের মাধ্যমেও নিরব পরিবেশে ইবাদত করা যায়। ইবাদতের মাঝে তওবা-ইস্তেগফার করে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থণা করতে হবে। এতে করেই আল্লাহর সান্নিধ্য লাভ করা সম্ভবপর হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Theme Created By Raytahost.Com