নারায়াণগঞ্জ পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান ও শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আলী আহাম্মদ চুনকার ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকীতে আলোচনা সভা ও দোয়ার আয়োজন করেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ। শনিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বাদ আছর জেলা কার্যালয়ে এই সভার আয়োজন করা হয়। সভায় আলী আহাম্মদ চুনকা, আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, গণপরিষদের সদস্য ও সংসদ সদস্য একেএম সামসুজ্জোহাসহ বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের নিহত সদস্যদের জন্য দোয়া করা হয়। এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু কামনায় বিশেষ দোয়া করা হয়।
সভায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই বলেন, আমি শ্রদ্ধার সাথে চুনকা ভাইকে স্মরণ করছি। আমার আজও মনে পড়ে তাঁর জন্য ডিআইটির চত্বরে বিশাল জানাযা হয়েছিল। স্বাধীনতার আগে উনি বিডি মেম্বর ছিলেন। উনাকে অনেকেই তখন বিডি মেম্বর হিসেবে চিনতেন। বিচার কাজের জন্য উনি বেশ সুনামধন্য ছিলেন। একবার শুনলাম, উনার এক ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ের বিচার কাজে উনি ছিলেন। সেখানে তিনি বিপক্ষে রায় দিয়েছেন। তিনি ন্যায় বিচার কাজ করেন। এমন ছিলেন চুনকা ভাই।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদল বলেন, আজকের দিনটিতে নারায়ণগঞ্জ শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার পৌরপিতার প্রতি গভীরভাবে শ্রদ্ধা নিবেদন করছি। আমি গভীরভাবে শ্রদ্ধা নিবেদন করছি তার সহধর্মিণী জনপ্রিয় নেত্রী আইভীর মা মমতাজ বেগমের প্রতি। আজকে শুধুই বলতে চাই, মঞ্চে যদি বড় বড় কথা বলি ও মঞ্চের বাইরে কথার সাথে কাজের কোন মিল না থাকে তাহলে সেই বক্তব্য হয় নিরর্থক। আমি খোলামেলাভাবে অনেক কথা বলি, তাই আমাকে মাফ করে দিবেন। ২০ তারিখে সামসুজ্জোহা ভাইয়ের মৃত্যুবার্ষিকীতে বলেছিলাম, আমারা কেমন অপরাধী যে আমাদের কোন প্রার্থী দেয়া হয় নাই। কে কি মনে করে তাতে আমার কোন কিছু যায় আসে না। কিন্তু এটা আমার মনের কথা, মনের ব্যথা। আমি আজকের দিনটিতে বলতে চাই, এখানে (আওয়ামী লীগের কার্যালয়) চুনকা ভাই, জোহা ভাই, আওয়ামী লীগের সভপতি-সম্পাদকের ছবি লাগালে কি কোন আপরাধ হবে। তাহলে, আমি এই ছবি লাগানোর দাবি জানাই। সাথে মনির ভাইয়ের ছবিটাও যেন থাকে। আমাদের এখন বিদায়ের পালা। তাই নতুনদের এগিয়ে দিন।
নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাইয়ের সভাপতিত্বে ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদল এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক উপ দপ্তর সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিনের সঞ্চালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান বাচ্চু, এড. আসাদুজ্জামান, আরজু রহমান ভূঁইয়া, সাবেক সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক নুর হোসেন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম আবু সুফিয়ান, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা জসিম উদ্দিন, শামসুজ্জামান ভাসানী, মো. শহিদুল্লাহ, মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জিএম আরাফাত, সদর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুনসহ নেতৃবৃন্দ।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।