আড়াইহাজারে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মহিলা ইউপি সদস্যের বাড়িসহ ১৬টি বাড়িঘরে হামলা-ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে উপজেলার খাগকান্দা ইউনিয়নের বাহেরচর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। হামলায় নারী-পুরুষ ও শিশুদের মাঝে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বাহেরচর গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে শাহআলম ও জুলহাস মেম্বারের সাথে আওয়ামী লীগ নেতা তোফাজ্জলের দ্বন্দ্ব চলছিল। এরআগেও একাধিকবার হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে বেশ কয়েকটি মামলাও চলছে। এরই মাঝে সোমবার রাতে শাহআলম ও ৫নং ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য জুলহাসের নেতৃত্বে ২ শতাধিক লোক দেশীয় অস্ত্র দা, ছোরা, টেঁটা ও বল্লম নিয়ে তোফাজ্জলের বাড়িতে হামলা চালায়। একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা ৪, ৫ ও ৬নং ওয়ার্ডের নারী ইউপি সদস্য আফরোজার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট করে। এতে নারী ও শিশুদের কান্নায় ভারী হয়ে উঠে পরিবেশ। সন্ত্রাসীরা একে একে ১৬টি বাড়ি ভাংচুর করে লুটপাট চালায়। হামলায় টেঁটাবিদ্ধসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে আখিনুর ও হিরাকে আড়াইহাজার উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
হামলার শিকার তোফাজ্জল জানান, তার বাড়ি থেকে নগদ ১০ লাখ টাকা, ১০ ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার এবং নারী ইউপি সদস্য আফরোজা জানান, তার ঘর থেকে নগদ ৫ লাখ টাকা এবং ৮ ভরি ওজনের স্বর্ণালংকারসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র লুটে নিয়েছে হামলাকারীরা। তাছাড়া একই গ্রামের আ. রহিম, আবুল, মাসুম, ডা. নবী হোসেন, আ. লতিফ, আবুল হোসেন (২) এদের বাড়িতেও ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। এরকম হামলার ঘটনা নজীরবিহীন বলে তারা উল্লেখ করেন। অভিযুক্ত জুলহাস মেম্বারকে তার মুঠাফোনে কল দিলে তিনি কল রিসিভ করেননি।
আড়াইহাজার থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রহিম জানান, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে যাই। এরআগেই ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে।
আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান উল্লাহ জানান, এই ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। জড়িতরা কোন অবস্থাতেই পার পাবে না। থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।