রূপগঞ্জে পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে গিয়ার গ্রুপের বিরুদ্ধে তান্ডব চালিয়ে ব্যবসায়ীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। এসময় নারীসহ ৪ জনকে পিটিয়ে আহত করেছে বলে জানা গেছে। রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার গোলাকান্দাইল দক্ষিণপাড়ার খালপাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী দোকান মালিক শফিক মিয়া জানান, গত সংসদ নির্বাচনের দিন আমার দোকানে মাছুম বিল্লাহ ১৫শ’ টাকা বাকি খায়। এরপর আর সে দোকানের সামনে আসেনি। রোববার মাছুম বিল্লাহ তার সহযোগীদের নিয়ে আমার দোকানে আসলে আমি তার কাছে পাওনা টাকা চাই। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমার উপর হামলা করে। এসময় বাধা দিতে এলে আমার মা মনোয়ারা বেগম, পথচারী আলমগীর ও মহিউদ্দিনকে পিটিয়ে মারাত্মক আহত করে। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। তারা আমার দোকানের মালামাল নষ্ট করে দোকানে থাকা নগদ ২০ হাজার টাকা লুটে নেয়।
এলাকাবাসী জানায়, মাছুম বিল্লাহ বাহিনী এলাকার এক আতংকের নাম। কারণে অকারণে মানুষকে মারধর বা বাড়ি ঘরে হামলা চালিয়ে ত্রাসের সৃষ্টি করাই তাদের কাজ। গোলাকান্দাইল ৬নং ওয়ার্ডের মিলনের ছেলে মাসুম বিল্লাহ, মোজাম্মেলের ছেলে রাকিব, মোক্তারের ছেলে ইব্রাহিম ও রফিকের ছেলে আরিফ এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী। তারা চাঁদাবাজি, জমি দখল, মাদক বিক্রি ও অস্ত্রের মহড়াসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে বেড়ায়। এদের অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ট। গোলাকান্দইল ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আল আমিনের ছত্রছায়ায় এরা দিনদিন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এদের ভয়ে এলাকার কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়না। এই গ্রুপের সকল সদস্যদের কাছে সুইচ গিয়ার চাকু থাকে। তারা নিজেরাই তাদের গ্রুপের নাম দিয়েছে গিয়ার গ্রুপ। এ গ্রুপের প্রধান মাসুম বিল্লাহর নামে ২টি হত্যাসহ ২ ডজনের মতো মামলা রয়েছে। মামলা থাকলেও পুলিশ তাকে গ্রেফতার করছে না। এলাকায় কেউ নতুন বাড়ি করলে তাদের মোটা অংকের টাকা চাঁদা দিতে হয়। তাদের কথার অবাধ্য হলে চলে নির্মম অত্যাচার। তাদের গ্রেফতার করে শাস্তির দাবি জানান এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে ভুলতা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে সাথে সাথে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। সন্ত্রাসীদেরকে গ্রেফতারে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।