সরকার পতনের আন্দোলনে ব্যর্থ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে বিএনপির হাইকমান্ড। সেই ধারাবাহিকতায় নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর ছাত্রদলের বর্তমান নেতৃত্বে পরিবর্তন আসছে বলে জানা গেছে। গত বছরের ২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশে সংঘর্ষের পর থেকেই কঠোর কর্মসূচিতে যায় বিএনপি। তবে এসময় মূল দল ও অঙ্গ সংগঠনের অনেক নেতাই নিষ্ক্রিয় ছিলেন। অনেকেই এলাকায় থাকলেও আন্দোলনে মাঠে নামেননি। মূল দল থেকে শুরু করে সকল অঙ্গ সংগঠনে নিষ্ক্রিয়দের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছে দলীয় সূত্র। মার্চ থেকে শুরু করে পুরো রমজান ও ঈদের পর পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জের সাংগঠনিকভাবে দুর্বল ইউনিটগুলোর নিয়ে কাজ করবে দলের শীর্ষ নেতারা।
বিগত আন্দোলনে সামনের সারিতে থেকে ভূমিকা পালন করার কথা থাকলেও নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর ছাত্রদলের শীর্ষ নেতাদের খোঁজ পাওয়া যায়নি। আন্দোলনে সামনের সারিতে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েও মাঠ ছেড়ে পালিয়ে যান বর্তমান নেতৃত্বে থাকা অনেকেই।
আন্দোলনের পুরো সময় মাঠে দেখা যায়নি নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নাহিদ হাসান ভূঁইয়া ও সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের রহমান জিকুকে। দুই মাসের আন্দোলনের পুরো সময়জুড়েই মাঠছাড়া অবস্থায় ছিলেন নাহিদ ও জিকু। এছাড়াও জেলা ছাত্রদলের কমিটিতে থাকা বাকি সদস্যদেরও খুব একটা সক্রিয় দেখা যায়নি।
আন্দোলনের শুরুর দিকে ঝটিকা মিছিল করতে দেখা গেলেও বাকি সময়টা রাজনীতি থেকে দূরে ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুর রহমান সাগর ও সাধারণ সম্পাদক রাহিদ ইসতিয়াক।
দলের শীর্ষ নেতারা ইতিমধ্যে নিষ্ক্রিয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আভাস দিয়েছেন। ছাত্রদল-যুবদলের মত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গসংগঠন এমনকি মূল দলেরও নিষ্ক্রিয় ইউনিটগুলোতে নেতৃত্বের আগাগোড়া পরিবর্তন আনা হবে বলে জানা গেছে। এক্ষেত্রে বিগত সময়ে আন্দোলনে মাঠে সক্রিয় ও শক্ত প্রতিরোধ গড়ে আলোচনায় আসা নেতাকর্মীরা আগামীতে নেতৃত্বে প্রধান্য পাবে। ঈদুল ফিতরের আগেই দেশব্যাপী সাংগঠনিকভাবে দলকে গুছিয়ে শক্তিশালী হয়ে মাঠে ফিরতে মরিয়া বিএনপি। এমন পরিস্থিতিতে বিগত আন্দোলনে নিষ্ক্রিয় থাকা নেতাদের নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।