Logo
শিরোনাম
তোলারাম কলেজের অধ্যক্ষের সাথে ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সাক্ষাৎ শ্রমিক শামীম হত্যায় গ্রেফতার আলফাস দুই দিনের রিমান্ডে জেলা কৃষকদলে শাহীন আহ্বায়ক, সদস্য সচিব আলম ফতুল্লায় যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার যানজট নিরসনে ভ্রাম্যমাণ আদালত, ৬ মামলায় জরিমানা আদায় মামুন হত্যায় আকতার ও সুমনকে আসামি করে মামলা নারায়ণগঞ্জ শহরের হকার্স মার্কেটের পিছনে প্রকাশ্যে মাদকের হাট সন্ত্রাসীদের আটক করতে না.গঞ্জসহ সারা দেশে শুরু ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ প্রশাসন নিরব থাকলে ছাত্র-জনতা উপযুক্ত জবাব দিতে বাধ্য হবে: আব্দুল্লাহ আল আমিন মোবাইলের কারণে যুবকরা ক্রীড়া ও শিক্ষার দিকে অমনোযোগী হয়ে পড়ছে: গিয়াসউদ্দিন
HEL [tta_listen_btn]

সোনারগাঁয়ের পারভেজ হত্যা: জড়িতদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন

???????

সোনারগাঁয়ে মো. পারভেজ হত্যাকান্ডে জড়িতদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকার সর্বস্তরের জনগণ। শনিবার (২ মার্চ) উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের পশ্চিম কান্দারগাঁও এলাকায় প্রায় শতাধিক নারী ও পুরুষের অংশগ্রহণে এ মানববন্ধন হয়।
জানা গেছে, ১৬ ফেব্রুয়ারি দুপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে জাকির হোসেন ও জসিমের লোকজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র টেঁটা, রামদা ও লাঠিসোঠা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় উভয়পক্ষের ১১ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে আব্দুল মোতালেবের ছেলে পারভেজ হোসেনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যায়। এ ঘটনায় ২০ ফেব্রুয়ারি নিহতের ছোট ভাই হৃদয় মিয়া বাদি হয়ে জসীমকে প্রধান আসামী করে ৪৯ জনের নাম উল্লেখসহ ৬১ জনের নামে হত্যা মামলা করেন। ঘটনার পর থেকে আসামীরা পলাতক থাকে। বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ভোরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার বিশ্বরোড এলাকায় র‌্যাব-১১ ও র‌্যাব-৯ যৌথ অভিযান চালিয়ে হত্যা মামলার এজহারভুক্ত প্রধান আসামী জসিম ও তার ছেলে ফাহাদকে গ্রেফতার করে। পরে সন্ধ্যায় সোনারগাঁ থানায় হস্তান্তর করা হয়।
নিহত পারভেজের মা ও স্ত্রী বলেন, পারভেজ অত্যন্ত নিরীহ ও সাধারণ মানুষ হিসেবে জীবিকা উপার্জন করতো। সে কোনো রাজনীতি, টেন্ডারবাজি বা চাঁদাবাজিতে জড়িত ছিল না। তবুও সন্ত্রাসীরা তাকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় পারভেজের দু’টি নাবালক সন্তান এতিম হয়েছে। পারভেজের স্ত্রী-সন্তানদের ভরণ-পোষণ ও দেখভালের জন্য আর কেউ নেই। তার পরিবার নিতান্তই অসহায় হয়ে পড়েছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও মহামান্য আদালতের প্রতি তারা দাবি জানান, এ সন্ত্রাসীমূলক কর্মকাণ্ডের শাস্তি হিসেবে সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড দেয়ার জন্য। এখনো যেসব আসামীরা অধরা রয়েছে তাদের দ্রুত গ্রেফতার করে একই সাজায় অন্তর্ভুক্ত করার জোর দাবি জানান।
মানববন্ধনে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ফজলুল হক, শিউলি বেগম, শামসুদ্দিন, তৈয়ব আলী, সিরাজুল ইসলাম, জুলহাস মিয়াসহ এলাকার প্রায় শতাধিক নারী ও পুরুষ। মানববন্ধন শেষে এলাকাবাসী পশ্চিম কান্দরগাঁওয়ের মহল্লার রাস্তায় বিক্ষোভ মিছিলের মাধ্যমে কর্মসূচি সমাপ্ত হয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Theme Created By Raytahost.Com