বন্দরে শ্লীলতাহানির ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরালের ভয় দেখিয়ে যুবতীকে ধর্ষণ এর সাথে জড়িত প্রধান আসামী সিফাত (২৫) কে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১। রোববার (৩ মার্চ) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১১ এর মিডিয়া অফিসার এএসপি সনদ বড়ুয়া। এরআগে শনিবার (২ মার্চ) ফতুল্লার রেলস্টেশন এলাকায় সিফাতের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে তাকে শনাক্ত করে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত সিফাত বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের নরপদী এলাকার নাহিদ মিয়ার ছেলে। পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য তাকে বন্দর থানায় হস্তান্তর করেছে র্যাব।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, ১১ ফেব্রুয়ারি রাত ৮টায় ভুক্তভোগী নারী ও তার ১৩ বছরের চাচাতো ভাই সিয়াম নরপদীস্থ হান্নান মিয়ার দোকানের সামনে দিয়ে বাসায় ফেরার পথে সেখানে ওঁৎ পেতে থাকা সিফাত ওই যুবতীকে পথরোধ করে জোরপূর্বক একটি অজ্ঞাতনামা অটোতে করে নরপদী স্কুলের সামনে নিয়ে যায়। পরে সেখানে সিফাত ও অয়নসহ অজ্ঞাতনামা ৫/৭ জন মিলে ওই নারীকে জোরপূর্বক ভাবে হাত-পা বেঁধে পরিধানের জামা কাপড় টানা হেচড়া করে ছিড়ে ফেলে আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করার ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। পরবর্তীতে ভূক্তভোগী নারী মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টায় ঘারমোড়াস্থ চাচাতো বোনের বাড়িতে দাওয়াতে ওই সময় সিফাত ভুক্তভোগী নারীর চাচাতো বোনের মোবাইলে ফোন করে তাকে নরপদী ব্রিজের সামনে আসতে বলে। ওই সময় ভুক্তভোগী নারী ব্রিজে আসবে না বলে জানালে এ ঘটনায় সিফাত ক্ষিপ্ত হয়ে ধারণকৃত আপত্তিকর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করার ভয় দেখায়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী সম্মানের ভয়ে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৭টায় বন্দর থানার কুড়িয়াভিটা ব্রিজের সামনে আসলে ওই সময় সিফাতের সাথে থাকা অয়ন ওই নারীকে কুপ্রস্তাব দেয়। কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় সিফাতসহ অজ্ঞাতনামা ৫/৭ জনের সহায়তায় লম্পট অয়ন ওই নারীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে কৌশলে পালিয়ে যায়।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।