Logo
HEL [tta_listen_btn]

উত্তাপহীন ফতুল্লা ইউপি উপনির্বাচন!

আর মাত্র ৩ দিন পর অনুষ্ঠিত হবে ফতুল্লা ইউনিয়নের পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচন। চেয়ারম্যান পদে ফাইজুলের সাথে শক্তিশালী কোন প্রার্থী না থাকায় নির্বাচনটি যেন উত্তাপহীন হয়ে পড়েছে। আর ভোটারদের মাঝেও নেই তেমন আগ্রহ। আগামী শনিবার (৯ মার্চ) অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে ফাইজুলের সাথে লড়ছেন পরশ, শিক্ষক রুবেল এবং সাংবাদিক আমজাদ হোসেন। যাদের কাউকেই চেনেনা সাধারণ ভোটাররা।
ভোটের মাঠে অনুসন্ধানে দেখা যাচ্ছে, নিরুত্তাপ এ নির্বাচনটি একপেশে হওয়ার ফলে ভোটারদের আগ্রহ নেই। তবে প্রতিদিনই উঠান বৈঠক করছেন ফাইজুল ইসলাম। এমপি পরিবারের মনোনীত প্রার্থী ফাইজুলের জন্য কোমড়ে গামছা বেধে নেমেছেন মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহ নিজাম। তাকে ফাইজুলের পক্ষে প্রতিটি উঠান বৈঠকে দেখা যাচ্ছে। আর ফাইজুলকে নির্বাচিত করার জন্য তিনি ভোট প্রার্থনা করছেন সকলের কাছে। অপরদিকে শক্তিশালী কোন প্রার্থী না থাকার ফলে অনেকটা ফাঁকা মাঠে জয়ের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে এমপি মনোনীত প্রার্থীর। তবে নির্বাচনের কোনরূপ আমেজ নেই পুরো ইউপি জুড়ে। প্রতিটি এলাকাতেই রয়েছে ফাইজুলের অটোরিকশা সম্বলিত পোস্টার। কয়েকটি স্থানে পরশের ২/৪টি পোস্টারের দেখা গেলেও বাকি দুই প্রার্থীর পোস্টারের কোন হদিস নেই। এছাড়াও নির্বাচনী প্রচারণারও কোন সুবাতাস বইছে না পুরো ইউপি জুড়ে। নির্বাচনের অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী অক্সফোর্ড প্রি-ক্যাডেট স্কুলের অধ্যক্ষ সাইফুল ইসলাম রুবেল মনোনয়নপত্র সংগ্রহের পর হতে অদ্যবদি রয়েছেন কোনাঠাসা অবস্থায়। সরকারদলীয় নেতাকর্মীদের ভয়ে তিনি প্রচার-প্রচারণাও করতে পারছেন না। তিনি যেন নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে সেজন্য শুরু থেকেই ব্যাপক চাপের মুখে পড়ে তাকে নারায়ণগঞ্জ ছেড়ে অন্যত্র লুকিয়ে থাকতেও হয়েছিলো। আর এ রুবেলকে সরে দাঁড়াতে মহানগর আওয়ামী লীগের এক প্রভাবশালী নেতাও অনেক চেষ্টা করেছেন এবং তা এখনও পর্যন্ত অব্যাহত রেখেছেন। আরেক প্রার্থী পরশ তাকে ২/১টি প্রচার-প্রচারণায় দেখা গেলেও তিনিও নিরব হয়ে গেছেন এবং চেষ্টা চালাচ্ছেন যে ফাইজুলের সাথে যোগাযোগ করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে। কিন্তু ফাইজুল নাকি তার সাথে দেখা করছেনা বলে এমন গুঞ্জনও শোনা যাচ্ছে। অপর প্রার্থী সাংবাদিক আমজাদ হোসেন। সেও নাকি প্রচার-প্রচারণায় নেই। তার বাড়ি তল্লা এলাকাতেই নাকি সীমাবদ্ধ প্রচার চালাচ্ছেন চুপিসারে।
সাধারন ভোটারদের দাবি, নির্বাচনের পূর্বে সরকারদলীয় প্রায় ৮ জন প্রার্থী ছিলেন চেয়ারম্যান পদে। এমপি সাহেবের পছন্দের প্রার্থী হলেন ফাইজুল ইসলাম। যার ফলে চেয়ারম্যান পদে যোগ্য অনেক প্রার্থীই এমপির ইশারায় সরে দাঁড়ায় নির্বাচন থেকে। কাজি দেলোয়ার হোসেনও প্রার্থী ছিলেন চেয়ারম্যান পদে। তিনি যদি প্রার্থী হিসেবে মাঠে থাকতের তাহলে ফতুল্লা ইউপিতে এখন নির্বাচনের মাঠটি সরগরম থাকতো এবং ভোটের দিন প্রতিটি ভোট কেন্দ্রেই ভোটারের উপস্থিতি দেখা দিতো। আগামী শনিবার ৯ মার্চ নির্বাচনের দিন কি পরিমানে ভোটারের উপস্থিতি হবে তা নিয়ে শংকায় রয়েছেন সকল নেতারা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Theme Created By Raytahost.Com