শীতলক্ষ্যা নদীতে চলাচলরত ৪টি নৌযানকে ৩৫ হাজার টাকা অর্থদন্ড করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় অপর একটি নৌযানের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়েরের আদেশ দেয়া হয়। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট হাসান মারুফের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানটি পরিচালিত হয়। এসময় বিআইডব্লিউটিএ এর নারায়ণগঞ্জ নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের উপ-পরিচালক বাবুলাল বৈদ্যসহ ট্রাফিক পরিদর্শক ও নৌ-পুলিশের একজন কর্মকর্তাসহ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
উপ-পরিচালক বাবুলাল বৈদ্য জানান, নৌপথে নৌযান চলাচলে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ও নৌ চ্যানেলের উপর বার্দিং করা বন্ধ করতে মঙ্গলবার বিআইডব্লিউটিএ এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে শীতলক্ষ্যা নদীতে নৌ চলাচল অধ্যাদেশ ১৯৭৬ এর আলোকে সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়।
এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট হাসান মারুফ জানান, নৌপথে নিরাপদ চলাচল নিশ্চিত করতে এবং চ্যানেলের উপর সকল ধরনের বার্দিং বন্ধ রাখতে নিয়মিতভাবে এ ধরণের অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। এছাড়াও সন্ধ্যার পর বালুবাহী বাল্কহেড চলাচল বন্ধ রয়েছে। অভিযান চলাকালীন এসময় নৌ চ্যানেলের উপর বার্দিং করা ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের ঘাটতি থাকায় এমভি জাহিদুল সোহান-২ জাহাজকে ১০ হাজার, এমভি বুশরা এন্ড জান্নাত জাহাজকে ১০ হাজার, এমভি পাঁচ ভাই-৫ জাহাজকে ৫ হাজার, এমভি আখি অনি-২ জাহাজকে ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড করা হয়। এসময় এমভি ইরাম জাহাজের বিরুদ্ধে নৌ চলাচল অধ্যাদেশ আইনে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।