বন্দরে ১ সন্তানের জননী গৃহবধূ সাবিনা আক্তার পান্না (২৮) হত্যাকান্ডের ঘটনার দীর্ঘ ৫ মাস পর অভিনব কৌশলে ঘাতক আব্দুর রহমান (৩০) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রোববার (৩ মার্চ) আশুলিয়া খেজুরটেক এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আব্দুর রহমান বন্দর থানার নবীগঞ্জ শান্তিবাগ এলাকার আব্দুল আজিজ প্রকাশের ছেলে। গ্রেফতারকৃতকে সোমবার (৪ মার্চ) দুপুরে ১৬৪ ধারায় বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করছে পুলিশ। এদিকে গ্রেফতারকৃত আসামী বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে হত্যাকান্ডের দায় স্বীকার করে জবানবন্দী প্রদান করেছে। এরআগে গত বছরের ৪ অক্টোবর বিকেল ৪টায় বন্দর থানার নবীগঞ্জ শান্তিবাগ এলাকায় এ হত্যাকান্ডের ঘটনাটি ঘটে। নিহত সাবিনা আক্তার পান্না বন্দর থানার নবীগঞ্জ শান্তিবাগ এলাকার রাজিব হোসেনের স্ত্রী। এ ব্যাপারে নিহত গৃহবধূর শাশুড়ি মাসুদা বেগম বাদি হয়ে আব্দুর রহমানকে আসামী করে বন্দর থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার তথ্য সূত্রে জানা গেছে, বন্দর থানার নবীগঞ্জ শান্তিবাগ এলাকার দেলোয়ার হোসেনের স্ত্রী মাসুদা বেগমের সাথে একই এলাকার আব্দুল আজিজ প্রকাশের ছেলে আব্দুর রহমানের জমিজমা ক্রয়-বিক্রয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। ৪ অক্টোবর বিকেল ৪টায় বিবাদি আব্দুর রহমানের বাড়ির সামনে জনৈক মোশাররফ হোসেন ভেন্ডারের মালিকানাধীন জমির পাশে মামলার বাদিনী ৩ বছরের অবুঝ নাতনি রোজামনি অন্য বাচ্চাদের সাথে খেলাধুলা করছিল। ওই সময় আব্দুর রহমান তার বাসায় ঘুমিয়ে ছিল। বাচ্চাদের খেলাধুলার কারণে ঘুমের ব্যাঘাত সৃষ্টি হওয়ার জের ধরে আব্দুর রহমান ক্ষিপ্ত হয়ে মামলার বাদিনীর নাতনিকে বকাঝকা করে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। ওই সময় শিশুটির কান্নাকাটির শব্দ পেয়ে তার মা সাবিনা আক্তার পান্না এর প্রতিবাদ করলে ওই সময় আব্দুর রহমান ক্ষিপ্ত হয়ে কোদাল দিয়ে মাথায় আঘাত করলে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়। হত্যাকান্ডের পর থেকেই ঘাতক আব্দুর রহমান পলাতক থাকে। পরে বন্দর ফাঁড়ি পুলিশের উপ-পরিদর্শক আরিফ পাঠানসহ সঙ্গীয় ফোর্স গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার আশুলিয়া খেজুরটাক এলাকায় অভিনব কৌশলে অভিযান চালিয়ে হত্যা মামলার আসামী আব্দুর রহমানকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করতে সক্ষম হয়।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।