নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের গাফিলতির ফলে দিনে-রাতে সমানতালে মশা কামড়াচ্ছে বলে জানান নগরবাসী। ঘরে বাইরে কোথাও মশার যন্ত্রণা থেকে রেহাই মিলছে না। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর খোলা জায়গায় এক মিনিটও দাঁড়ানোর উপায় নেই। যেকোনো খোলা জায়গায় দাঁড়ালেই মাথার ওপর ঝাঁক বেধে উড়তে থাকে মশা। ঘরে-বাইরে, কর্মস্থলে সবখানেই মশায় অতিষ্ঠ নগরবাসী। কোনোভাবেই মশার যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাচ্ছি না বলে জানান নগরবাসী। এদিকে মশাবাহিত রোগ নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন সামনে বর্ষা মৌসুমে মশার উৎপাত আরও বাড়বে। মশা নিধনে এখন থেকেই সিটি কর্পোরেশনকে কার্যকর ভূমিকা নিতে হবে। নতুবা মশার কামড়ে আক্রান্তদের ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়াসহ নানা জটিল রোগে প্রাণহানির মতো ঘটনাও ঘটতে পারে।
নগরীর বেশ কিছু এলাকা ঘুরে স্থানীয়দের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের সকল ওয়ার্ডে মশার উৎপাত বেড়েছে। এমন কোনো এলাকা নেই যেখানে মশা নেই। বিভিন্ন স্থানে আবর্জনার স্তুপে মশার বংশ বৃদ্ধির চিত্র লক্ষ্য করা গেছে। বিশেষ করে এনসিসির করা ড্রেনে মশার উৎপাত বেশি দেখা গেছে।
সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দারা জানায়, সিটি কর্পোরেশনের মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম ও উদ্যোগের কথা বিভিন্ন সময় শোনা গেলেও বাস্তবে কর্মীদের দেখা মেলে না। অনেকে মশার অত্যাচার থেকে রক্ষা পেতে বাসা-বাড়ির জানালা ও বারান্দায় নেট লাগিয়েছেন।
১৪নং ওয়ার্ড এলাকার বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম বলেন, মশার যন্ত্রণায় আমরা অতিষ্ঠ, মশাগুলো সাইজে খুব বড়। শরীরে বসে কিছু বুঝে উঠার আগেই কামড় দিয়ে চলে যায়। ছেলে-মেয়ে মশার যন্ত্রণায় পড়ার টেবিলে বসতেই পারেনা। তাই উপায় না পেয়ে দিনেও মশারি টানিয়ে রাখতে হচ্ছে।
আশরাফ মিয়া ও নিজাম উদ্দিন বলেন, কর্মস্থল থেকে শুরু করে বাসা সর্বত্র মশার উপদ্রব বেড়েছে। যেন অস্থির অবস্থা। মশারি, কয়েল কিংবা ইলেকট্রিক ব্যাট দিয়েও মশার উপদ্রব নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। আমরা মেয়রের কাছে দাবি জানাই, দয়া করে আমাদের মশার যন্ত্রণা থেকে রক্ষা করেন।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।