২ মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধ, শ্রমিকের উপর হামলাকারী সন্ত্রাসীদের শাস্তি ও ছাঁটাই-নির্যাতন বন্ধসহ ১২ দফা দাবিতে বুধবার (৬মার্চ) ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে সাম্পান সুজ শ্রমিকরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে। কারখানার শ্রমিক মোবারক হোসেনের সভাপতিত্বে অবস্থান কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট জেলার সভাপতি আবু নাঈম খান বিপ্লব, গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট জেলার সভাপতি সেলিম মাহমুদ, রি-রোলিং স্টিল মিলস শ্রমিক ফ্রন্ট জেলার সাধারণ সম্পাদক এস এম কাদির, গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সভাপতি রুহুল আমিন সোহাগ, কাঁচপুর শিল্পাঞ্চল শাখার সহ-সভাপতি আনোয়ার খাঁন, কারখানার শ্রমিক মিরাজ, মর্জিনা প্রমুখ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, সিদ্ধিরগঞ্জে অবস্থিত সাম্পান সুজ কারখানার শ্রমিকরা ২ মাস যাবত বেতন পায়না। কখনও নিয়ম মতো বেতন দেয় না। বেতন চাইলে অকথ্য ভাষায় গালিগালি ও মারধর করে। কারখানার মালিক বাংলাদেশ শ্রম আইন মেনে কারখানা পরিচালনা করে না। সরকার ঘোষিত পাদুকা শিল্পের মজুরি গেজেট অনুযায়ী বেতন নির্ধারণ ও পরিশোধ করে না। শ্রমআইন অনুযায়ী চাকরি থেকে ইস্তফা বা রিজাইন দিলে সার্ভিস বেনিফিটের টাকা দেয় না। নারী শ্রমিকদের মাতৃত্বকালীন সবেতনে ছুটি দেয় না। কারখানায় শ্রমিক অসুস্থ হলে ছুটি বা চিকিৎসা মালিক করায় না এবং এমবিবিএস ডাক্তার রাখে না। শ্রমআইন না মেনে কথায় কথায় শ্রমিকদের ছাঁটাই করে। ১৩ ফেব্রুয়ারি শ্রমিকরা মালিকের কাছে বেতন চাইতে গেলে কারখানায় মালিকের কর্মকর্তা ও বহিরাগতরা শ্রমিকদের মারধর করে। ৬ জন শ্রমিককে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। অভিযোগ দেয়া হলেও এখনও কাউকে গ্রেফতার করেনি। শ্রমিকদের ১২ দফা দাবি নিয়ে কলকারখানা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরে কয়েকবার বসলেও মালিকরা কবে বেতন দিবে তা জানায়নি ও ন্যায্য দাবি বাস্তবায়ন করেনি।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, শ্রমিকেরা সময়মতো বেতন না পাওয়ায় বাড়িভাড়া ও দোকান বাকি বিল পরিশোধ করতে পারছে না। সন্তানের শিক্ষার খরচ, পরিবারের চিকিৎসা ও অন্যান্য প্রয়োজন মেটাতে পারছে না। বাড়িওয়ালা, দোকানদার খারাপ আচরণ করছে শ্রমিকদের সাথে। নেতৃবৃন্দ সংকট নিরসনের জন্য জেলা প্রশাসক, কল-কারখানা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর, শিল্প পুলিশকে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।