সকল কাজে সমমজুরি ও সম্পত্তিতে সমান অধিকার দিতে হবে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার উদ্যোগে শুক্রবার (৮ মার্চ) সকাল ১১টায় ২নং রেলগেটে সমাবেশ ও শহরে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন, সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম জেলা শাখার সভাপতি মিমি পূজা দাস। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আক্তার, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সুইটি বেগম, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সাবেক সভাপতি মুন্নি সরদার প্রমুখ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, সমাজের সকল ক্ষেত্রে নারীর ভূমিকা পালন, অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং বহুযুগের লাঞ্ছনার অবসান ঘটিয়ে মানবিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার নিয়ে বিশ্ব নারী দিবসের সূচনা হয়। মানব সভ্যতার ইতিহাস যেমন নারী-পুরুষের সংগ্রামের ইতিহাস আবার অন্যদিকে নারীর বঞ্চনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ইতিহাস। ডেনমার্কের কোপেনহেগেনে ১৯১০ সালে আর্ন্তজাতিক নারী সম্মেলনে সমাজতান্ত্রিক নারী নেত্রী ক্লারা জেটকিনের প্রস্তাবমতে ৮ মার্চকে নারীদের মর্যাদা প্রতিষ্ঠার দিবস দিবসে ঘোষণা করা হয়।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, নারী দিবস ঘোষণার ১১৩ বছর পর এবং বিপুল আত্মত্যাগের মাধ্যমে আমাদের স্বাধীনতা অর্জনের ৫২ বছরে নারীদের নানা অগ্রগতি সত্ত্বেও নারীর প্রতি বৈষম্য, নির্যাতন ও অপমান আজও বিদ্যমান। আইনের দৃষ্টিতে সবাই সমান এ কথা বলা হলেও নারীরা এখনো আইনী বৈষম্যের শিকার। পিতা-মাতার সম্পত্তিতে নারীর সমান অধিকার, মাতৃত্বকালীন ছুটি ও সুরক্ষা নিয়ে এখনো লড়তে হচ্ছে। সকল কাজে সমমজুরি আইন থাকলেও এখনো পর্যন্ত সকল ক্ষেত্রে বাস্তবায়ন হয়নি।
নেতৃবৃন্দ বলেন, নারীর শ্রম এবং সম্ভ্রম যেমন পুঁজিবাদী শোষনের শিকার তেমনি সমাজে নারী-শিশু নির্যাতন-ধর্ষণ-হত্যা ভয়াবহভাবে বাড়ছে। এসব মোকাবিলা করে নারীরা যখন উঠে দাঁড়ানোর সংগ্রাম করছে তখন ধর্মান্ধ-সাম্প্রাদায়িক আক্রমণ নারীর জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলছে। নেতৃবৃন্দরা তাই বলেন, নারী দিবসের চেতনার মূলেও ছিলো শোষণ বৈষম্যহীন সাম্য সমাজ গড়ার আহ্বান। তাই নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে নারী দিবসের চেতনা প্রতি বছর নারীদের লড়াই করার পথ দেখায়।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।