বন্দরে রাসেল জমাদ্দার ওরফে বাদশা জমাদ্দার (৫০) নামে এক রংমিস্ত্রীর অর্ধগলিত ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এলাকাবাসীর সংবাদের প্রেক্ষিতে শুক্রবার (৮ মার্চ) রাতে বন্দর র্যালি আবাসিক এলাকার আসাদুল্লাহ মিয়ার বাড়ি চিলাকোঠা রুম থেকে ওই মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়। আত্মহত্যাকারী রংমিস্ত্রী রাসেল জমাদ্দার ওরফে বাদশা জমাদ্দার পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া থানার ভান্ডারিয়া বাসস্ট্যান্ডস্থ জমাদ্দার বাড়ি এলাকার মৃত লতিফ জমাদ্দারের ছেলে। সে তার পরিবার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বন্দর র্যালি আবাসিক এলাকার আসাদুল্লাহ মিয়ার ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করে আসছে। এ ব্যাপারে আত্মহত্যাকারীর ছেলে শাওন জমাদ্দার বাদি হয়ে শুক্রবার রাতে বন্দর থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের করে। এরআগে সোমবার (৪ মার্চ) সকাল পৌনে ৮টা থেকে শুক্রবার রাত ৮টা মধ্যে যে কোন সময়ে বন্দর র্যালি আবাসিক এলাকার উল্লেখিত বাড়িতে এ ঘটনাটি ঘটে। মামলার বাদি শাওন জমাদ্দার জানান, তার পিতা রাসেল জমাদ্দার ওরফে বাদশা জমাদ্দার পেশায় একজন রংমিস্ত্রী। সে দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ থাকার কারণে শারীরিক ও মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েন। প্রতিদিনের ন্যায় সোমবার সকাল পৌনে ৮টায় কাজের উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হয়। পরবর্তীতে ঐদিন দুপুর সাড়ে ১২টায় আমি ও আমার মা আমার পিতাকে ফোন করলে সে ফোনটি রিসিভ করেনি। পরে একই দিন ৫টায় আমার পিতাকে ফোন করলে কোন খোঁজখবর না পেয়ে আমরা পিতাকে সন্ধান পাওয়ার জন্য আমাদের আত্মীয়-স্বজনদের বাসায় খোঁজাখুঁজি করে কোথাও তাকে পাওয়া যায়নি। শুক্রবার রাত ৮টায় প্রতিবেশী সুমন তার বসত বাড়ির ছাদে ফুল গাছে পানি দিতে উঠলে দুর্গন্ধ পেয়ে ছাদের চিলাকোঠার রুম খুলে দেখেন আমার পিতা রাসেল জমাদ্দার ফ্যানের আংটার সাথে রশি পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে। পরে প্রতিবেশী সুমন বিষয়টি আমাদেরকে জানালে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে আমার পিতার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে সংবাদ জানাই। পরে খবর পেয়ে বন্দর ফাঁড়ি পুলিশের এসআই শামীম আল মামুনসহ সঙ্গীয় ফোর্স দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে বাড়ির চিলাকোঠা রুম থেকে আমার পিতার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করে।
বন্দর ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক শামীম আল মামুন জানান, লাশ উদ্ধারের ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়েছে। পুলিশি তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।