সোনারগাঁ পৌরসভার মল্লিকপাড়া উত্তমদি গ্রামের মৃত করম আলীর ছেলে জসীম উদ্দীন দীর্ঘদিন যাবত প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে বাড়িতে টিনের বেড়ার প্রাচীর তৈরি করে বাড়ির চতুরদিকে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করে মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসন তার পঙ্গুত্বের কথা চিন্তা করে নানাভাবে ছাড় দিচ্ছে। সোনারগাঁয়ের মাদক সম্রাট জসিমের ছত্রছায়ায় তার স্ত্রী, ছেলে-মেয়ে, ভাতিজা এই মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েছে। মাদক সম্রাট জসিমের কারণে মাদকে ভাসছে মল্লিকপাড়ার উত্তমদি গ্রামটি। মাদক ব্যবসায়ী জসিমের মাদকের ভান্ডারে কারণে মল্লিকপাড়ায় হাত বাড়ালেই মিলছে ফেনসিডিল, ইয়াবা, হেরোইন, গাঁজাসহ বিভিন্ন প্রকার মাদকদ্রব্য।
জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বার বার মাদকের ব্যাপারে কঠোর হুংকার দিলেও কিছুতেই কর্ণপাত করছে না মাদক ব্যবসায়ী জসিম। মাদক সম্রাট জসিম যেন দিব্বি তার এই অবৈধ ব্যবসা দিনদুপুরে তার স্ত্রী, ছেলে-মেয়ে ও তার আপন ভাতিজাকে দিয়ে পরিচালনা করে যাচ্ছেন। তাই সচেতন মহল দাবি তুলেছেন, এই মাদক কারবারী মাদক সম্রাট জসিমের বিরুদ্ধে এখনি কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। অন্যথায় তার মাধ্যমে যুব সমাজ ধ্বংস হবে। তবে সোনারগাঁ থানা পুলিশ থানার অন্য এলাকায় মাদকের ব্যাপারে কঠোর ভূমিকা নিলেও সোনারগাঁ পৌরসভা এলাকার মল্লিকপাড়া উত্তমদি গ্রামে স্থানীয় পুলিশের তৎপর না থাকায় এই সুযোগে এলাকার মাদক ব্যবসায়ী জসিম আরো বেপরোয়া হয়ে উঠছে বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসী।
এলাকাবাসী জানান, মাদক সম্রাট জসিম উদ্দিন এলাকার মাদকের ডিলার। তার সহযোগী হিসেবে রয়েছেন তার স্ত্রী এবং ছেলে-মেয়ে। কয়েকদিন আগে নারায়ণগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের হাতে ৪০ বোতল ফেনসিডিলসহ জসিমের ছেলে গ্রেফতার হন। কারাগার থেকে ছাড়া পেয়ে আবার ব্যবসা শুরু করেন জসিম ও তার পরিবার। ইতোমধ্যে এই এলাকায় মাদক সম্রাট জসিম এখানকার মাদকের নব্য ডন হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। তার কাছে গেলেই মাদক পাওয়া যায় বলে জানান স্থানীয়রা। তার ভয়ে স্থানীয় এলাকাবাসী কেউ মুখ খুলতে চায় না।
জানা যায়, মাদক সম্রাট জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে ডজনখানেক মাদক মামলাসহ চাঁদাবাজি মামলা রয়েছে। সচেতন মহল মনে করেন, শুধু ছিঁচকে মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে মাদক নির্মূল কিছুতেই সম্ভব নয়। এছাড়া থানা পুলিশের দুর্বল চার্জশিটে মামলার দীর্ঘ সূত্রতা সাক্ষীর অভাবের কারণে আইনের ফাঁক-ফোঁকড় দিয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা আদালত থেকে জামিনে বের হয়ে আবারও মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে যাচ্ছে। জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর মাঝে মাঝে কিছু মাদক ব্যবসায়ীদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সাজা দিচ্ছে। এই সাজা আপিল যোগ্য বিধান থাকায় এরা সাজা শেষ হওয়ার আগেই জামিনে বের হয়ে আসছে।
সচেতন মহলের অভিযোগ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে যেসব মাদক ব্যবসায়ীরা গ্রেফতার হয় তার বেশীর ভাগই সেলসম্যান অথচ মাদকের মূল গডফাদারর থাকছেন ধরা ছোয়ার বাইরে। তাদের সেলসম্যানরা গ্রেফতার হলে মূল ব্যবসায়ীরা তাদের আদালত থেকে জামিনে মুক্ত করে আবার একই ব্যবসায় নিয়োজিত করান। এছাড়া মাদক সম্রাটরা কখনো কখনো কোন না কোন রাজনৈতিক দলের নাম ব্যবহার করে। আবার কেউ কেউ নিজেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সোর্স পরিচয় দিয়ে জমজমাট পরিসরে মাদক ব্যবসা করছে।
নারায়ণগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল পিপিএম বার জানান, আমরা মাদকের বিরুদ্ধে জিরো ট্রলারেন্স। কোন মাদক কারবারিকে ছাড় দেয়া হবে না।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।