নগরীতে ফুটপাতে বসা নিয়ে হকারদের ২ গ্রুপের মাঝে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের ৬ জন আহত হয়। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) সন্ধ্যায় নগরীর নবাব সলিমুল্লাহ সড়কে এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলো, চাষাঢ়া হকার্স মার্কেটের দোকানদার ও বন্দরের নবীগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা রামা চন্দ বর্মনের ছেলে বিকাশ (৩৮), একই এলাকার মৃত আবুল হোসেনের ছেলে মিঠু, হরিজন পাড়ার নারায়ণের ছেলে যুবরাজ ও রফিক।
হকার নেতা আসাদ বলেন, অনুমতি কার্ড বিতরণের পর হকাররা নবাব সলিমুল্লাহ সকড়ের ফুটপাতে বসার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলো। এসময় হকার্স মার্কেটের সভাপতি ডালুর নেতৃত্বে স্থানীয় কিছু ছেলেরা আসে। আমরা ফুটপাতে দোকান বসাতে চাইলে ওই ছেলেরা বাধা দেয়। তারা বলে এখানে স্থানীয় ছেলেদের দোকান বসানো হবে। ওরা হকার না কিন্তু তবুও নির্ধারণকৃত জায়গায় আমাদের বসতে দেয় না। আমাদের কিছু হকার ফুটপাতে বসেছিলো তাদের উপর হামলা চালানো হয়েছে। এসময় আমাদের হকার মুসাসহ ৪-৫ জনকে মারধর করেছে। আহত হকাররা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। যে ছেলেরা আমাদের বাধা দিচ্ছে তারা কেউই হকার না। তবুও তারা তাদের নিজস্ব দোকান বসানোর নাম করে আমাদের বসতে দিচ্ছে না। আমাদের হকারদের দোকানের মালামাল লুটসহ পায়ের রগ কেটে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। সংঘর্ষের পর এখন অল্প কিছু হকার নিয়ে আমরা এই সড়কে বসেছি। তবে অনেক হকাররাই ভয় পাচ্ছেন। এদিকে কাউন্সিলর শকু ও মুন্নাকে এমপি সেলিম ওসমান দায়িত্ব দিয়েছিলেন আমাদের ম্যাপ অনুযায়ী বসার জায়গা নির্ধারণ করে দেয়ার জন্য। রং দিয়ে দাগ দিয়ে দিলে আমাদের হকারদের জন্য সুবিধা হতো। কিন্তু তারা সেটা করেনি বরং কাগজে দেখিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছে। কাউন্সিলর মুন্নাকে এই বিষয়ে একাধিক ফোন করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।