ক্ষমা ও মুক্তির বার্তা নিয়ে এসেছে পবিত্র মাহে রমজান। মাহে রমজানের প্রথম শুক্রবার পবিত্র জুম’আর দিন। ফলে রমজান মাসের প্রথম জুম’আর জামাতে নারায়ণগঞ্জ শহর ও শহরের বাইরের বিভিন্ন মসজিদে মসজিদে ছিল মুসুল্লিদের ঢল। মসজিদগুলোতে ছিল নানা বয়সী মুসুল্লিদের ব্যাপক উপস্থিতি। নামাজ শেষে দেশের শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে মোনাজাত করা হয়। রহমতের ১০ দিনের প্রথম জুম’আয় রোজাদার মুসুল্লিরা বেশ আগে থেকেই উপস্থিত হন মসজিদে। তবে শেষদিকে মুসুল্লিদের ঢল নামায় ঠাঁই হয়নি মসজিদের ভিতর ও বাইরের চত্বরে। প্রতিটি মসজিদই নামাজের বেশ আগেই পূর্ণ হয়ে যায় এবং রাস্তা বা সংলগ্ন স্থানে পাটের ছালা-চট-মাদুর-চাটাই বিছিয়ে জুম’আর নামাজ আদায় করতে হয় বিপুল সংখ্যক মুসুল্লিকে।
শুক্রবার (১৫ মার্চ) পবিত্র মাহে রমজানের প্রথম জুম’আয় আল্লাহ’র সন্তুষ্টি ও নৈকট্য লাভের প্রতিযোগিতায় সামিল হতে নামাজ শুরুর আগেই প্রতিটি মসজিদ মুসুল্লিদের অংশগ্রহণে পূর্ণ হয়ে যায়। বাড়ির বড়দের সাথে ছোট ছোট সোনামনিদেরও দেখা গেছে নামাজ আদায়ের জন্য মসজিদে চলে আসতে। সকলে পবিত্র মাহে রমজানের প্রথম জুম’আয় শরীক হয়ে নেক আমল লাভের চেষ্টায় একাগ্র চিত্তে প্রার্থনা করেছেন।
শহরের বড় বড় বেশ কয়েকটি মসজিদ যেমন ডিআইটি জামে মসজিদ, উকিলপাড়া জামে মসজিদ, চাষাঢ়া নুর মসজিদ, মাসদাইর কেন্দ্রীয় সিটি কবরস্থান জামে মসজিদ, মিন্নত আলী শাহ্ জামে মসজিদ, চাষাঢ়া বাগে জান্নাত জামে মসজিদ, মন্ডলপাড়া জিমখানা জামে মসজিদসহ শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দখো গেছে মুসুল্লিদের মাঝে যেন নতুন করে প্রাণের স্পন্দন তৈরী হয়েছে। মানুষ তার কৃতকর্মের জন্য এই পবিত্র মাসের উছিলায় আল্লাহ’র দরবারে ক্ষমা প্রার্থনার পাশাপাশি ভবিষ্যত জীবনের শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করতে মসজিদে ভীড় জমাচ্ছেন। যাদের পিতা-মাতা কবরবাসী হয়েছেন তারা মৃত পিতা-মাতার কবরের আজাব মাফ করতে ও তাদের বেহেস্ত নসীব করতে আল্লাহ’র কাছে কান্নাকাটি করতে দেখা গেছে। নামাজ শেষে দেশ, দেশের মানুষ ও সকল মুসলিম উম্মাহ’র শান্তি কামনা করে প্রতিটি মসজিদে বিশেষ মোনাজাত পরিচালিত হয়।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।