ফতুল্লায় অটোচালক রাজু (১৭) হত্যার ঘটনার রহস্য উদঘাটনসহ এক ঘাতককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতের নাম পারভেজ (৩০)। সে ফতুল্লার পাগলা বটতলা বৌবাজার এলাকার মুসা মিয়ার পুত্র। শনিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে তাকে ফতুল্লা থানার লালপুর পৌষাপুকুর পাড় এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় নিহত অটোচালক রাজুর ব্যবহৃত মোবাইল ফোন উদ্ধারসহ হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত কালো রংয়ের একটি বেল্ট জব্দ করে পুলিশ।
তথ্য মতে, বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ পিলকুনী কবরস্থান সংলগ্ন ডোবা থেকে অটোচালক রাজুর লাশ উদ্ধার করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। এর একদিন পর শুক্রবার (১৬ মার্চ) সকালে নিহত রাজুর মা পেয়ারা বেগম বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম জাানায়, জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তথ্য প্রযুক্তি ও নিজস্ব সোর্সের মাধ্যমে নিশ্চিত হয়ে শনিবার দুপুর ৩টার দিকে লালপুর পৌষাপুকুর পাড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে হত্যাকান্ডের সাথে সরাসরি জড়িত পারভেজ নামের এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়। এসময় হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত কালো রংয়ের একটি চামড়ার বেল্ট ও নিহতের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত পারভেজ হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করেছে। আরো এক ঘাতকের সহোযোগিতায় এ হতাকান্ডের ঘটনা ঘটায়। গ্রেফতারকৃত পারভেজ গার্মেন্টসে চাকরি করে এবং তার সহযোগী অপর ঘাতক রাকিব তার মতোই গার্মেন্টসে কর্মরত। ঘটনার রাতে তারা পৌষাপুকুর পাড় থেকে ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে অটো ভাড়া নেয়। পরবর্তীতে নন্দলালপুর-পিলকুনী সড়কে নির্জন স্থানে সুযোগ বুঝে কোমরের চামড়ার বেল্ট রাজুর গলায় পেচিয়ে হত্যা করে অটো নিয়ে পালিয়ে যায়। হত্যাকান্ডে জড়িত অপর ঘাতক রাকিবকেও আইনশৃখংলা রক্ষাকারী বাহিনী গ্রেফতার করেছে বলে তিনি জানতে পেরেছেন। ছিনিয়ে নেয়া অটো অতি দ্রুতই উদ্ধার করা হবে বলে তিনি জানান।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।