Logo
HEL [tta_listen_btn]

ফতুল্লায় অটোচালক খুন: প্রধান আসামী রাকিব গ্রেফতার

ফতুল্লায় নিখোঁজের ২ দিন পর অটোচালকের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় প্রধান আসামী বুলবুল শেখ রাকিব (২৪) কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। শনিবার (১৬ মার্চ) ফতুল্লা থানার পাগলা রেলস্টেশন এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। রাকিব বাগেরহাটের কচুয়া বারদাড়িয়া এলাকার মৃত মোহাম্মদ আলী শেখের ছেলে। পরবর্তীতে আসামীর দেয়া তথ্য মতে ফতুল্লা থানার পূর্ব শাহী মহল্লা এলাকায় অন্য আসামী মো. সানাউল্লাহ (৫২) এর সাইফুল সাইকেল হাউজ দোকান থেকে ভিকটিমের চালিত অটো গাড়িটির বিভিন্ন খন্ডিত অংশ বিশেষ (অটোর স্টিলের বডি ১টি, রিংসহ টায়ার ও টিউব ফিটিং চাকা ৩টি, ডিফারেন্সিয়াল ১টি, কন্ট্রোল বক্স ১টি, মোটর ১টি, সকেট জাম্পার ১ সেট, হ্যান্ডেল ১টি, পাউডার ব্যাটারি ১টি, কাঠের সিট ১টি, কাঠের হেলনা সাঁট ১টি এবং ক্যানোপি ১টি) উদ্ধার করা হয়। রোববার (১৭ মার্চ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় র‌্যাব-১১ এর অধিনায়ক লে. কর্ণেল তানভীর মাহমুদ পাশা।
তিনি জানান, গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, আসামী রাকিব এবং উক্ত মামলার অপর আসামী মো. পারভেজ (২৩) দু’জনই গার্মেন্টসে চাকরি করতো। ১২ মার্চ কোম্পানীতে চুরির দায়ে তাদেরকে কোন প্রকার বেতন-ভাতা না দিয়ে কোম্পানী হতে বহিস্কার করা হয়। পরবর্তীতে তারা পরিকল্পনা করে তাদের একই এলাকার পরিচিত অটোচালক ভিকটিম রাজু খান (১৯) কে ফতুল্লা থানার পাগলা এলাকায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে ভাড়া ঠিক করে। তারা অটোতে চড়ে ফতুল্লা থানার পাগলা এলাকার বিভিন্ন স্থানে ঘুরে সময় ক্ষেপন করে এবং নির্জন স্থান খোঁজ করতে থাকে। পরবর্তীতে রাত সাড়ে ১২টায় পিলকুনি বড় কবরস্থান সংলগ্ন ঈদগাহ মাঠের পাশে নিয়ে গিয়ে রাকিব শ্বাসরোধ করে হত্যার উদ্দেশ্যে তার পরিহিত প্যান্টের বেল্ট খুলে অপর আসামী পারভেজসহ ভিকটিমের গলায় পেচিয়ে ভিকটিমকে মাটিতে ফেলে দেয়। পরবর্তীতে পারভেজ ভিকটিমের গলায় পা দিয়ে চেপে ধরে মৃত্যু নিশ্চিত করে। মৃত্যু নিশ্চিত হলে দু’জন মিলে ভিকটিমকে পাশের ডোবাতে ফেলে দেয় এবং তারা ভিকটিমের ভাড়াকৃত অটো গাড়িটি চালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে অন্যত্র নিয়ে গিয়ে গাড়ির রং পরিবর্তন করে ফতুল্লা থানার পূর্ব শাহী মহল্লা এলাকায় একটি পুরান অটোরিকশা ক্রয়-বিক্রয়ের দোকান (সাইফুল সাইকেল হাউজ) এ আসামী মো. সানাউল্লাহের নিকট ২৮ হাজার টাকায় বিক্রি করে। বিক্রিত টাকা রাকিব এবং পারভেজ নিজেদের ভিতর ভাগাভাগি করে নেয়।
অনুসন্ধানে আরও জানা যায়, আসামী মো. সানাউল্লাহ চোরাই অটো ক্রয়-বিক্রয়ের চক্রের সাথে সংশ্লিষ্ট এবং সে চোরাই অটো ক্রয় করে রং পরিবর্তন করার পর বিভিন্ন অংশ ভেঙ্গে বিক্রয় করে থাকে।
উল্লেখ্য, ১৪ মার্চ ফতুল্লা মডেল থানার পিলকুনি বড় কবরস্থান সংলগ্ন ঈদগাহ মাঠের পাশে ডোবার ভিতরে স্থানীয় লোকজন শরীরে আংশিক পচন ধরা অর্ধগলিত অবস্থায় একটি মৃত দেহ দেখতে পেয়ে ৯৯৯ এ ফোন করে পুলিশকে অবগত করে। পরবর্তীতে পুলিশ এলাকার লোকজনের সহায়তায় ডোবা হতে লাশ উদ্ধার করে এবং লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে ভিকটিমের মা ভিকটিমের চেহারা এবং পরিহিত পোশাক দেখে ভিকটিম চাঁদপুরের হাইমচরের কান্দি ইসানবালার মৃত মোক্তার হোসেনের ছেলে মো. রাজু খান বলে শনাক্ত করে। ভিকটিমের পরিচয় শনাক্ত হওয়ায় পর ভিকটিমের মা বাদি হয়ে ফতুল্লা থানায় অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Theme Created By Raytahost.Com