ঈদের আগে শ্রমিকদের বেতন ও পূর্ণ বোনাস পরিশোধ, ঢাকা ইউনাইটেড ও মোল্লা রি-রোলিং, শারমিন স্টিল মিলসসহ সকল বন্ধ কারখানা অবিলম্বে চালু এবং রি-রোলিং কারখানায় শ্রমিকদের নিয়োগপত্র-পরিচয়পত্রসহ শ্রমআইন বাস্তবায়নের দাবিতে রি-রোলিং স্টিল মিলস শ্রমিক ফ্রন্টের উদ্যোগে সোমবার (১৮ মার্চ) বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ ও শহরে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। রি-রোলিং স্টিল মিলস শ্রমিক ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি জামাল হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক খালেকুজ্জামান লিপন, রি-রোলিং স্টিল মিলস শ্রমিক ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম খান বিপ্লব, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কাদির প্রমুখ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ঈদ আসলে বেতন-বোনাস নিয়ে কারখানাগুলোতে সংকট তৈরি হয়। রি-রোলিং কারখানাগুলোতে মালিক শ্রমিকদের নিয়োগপত্র-পরিচয়পত্র দেয় না। ফলে সেখানে কোন শ্রমআইন চলে না। এ সুযোগে মালিকরা শ্রমিকদের বোনাস থেকে বঞ্চিত করে। আইনের বাস্তবায়ন না থাকায় যেমন খুশি তেমন বোনাস দেয়া হয়। এমনকি অনেক কারখানায় বোনাসও দেয়া হয়না। শ্রমিকরা বোনাসের কথা বললে তার উপর নেমে আসে নির্যাতন। তাকে চাকরি পর্যন্ত হারাতে হয়। সরকারি প্রতিষ্ঠানে বেসিকের সমান বোনাস দেয়া হয়। অথচ যাদের উৎপাদনের কারণে দেশের চাকা ঘুরে তাদের ঠিকমতো বোনাস দেয়া হয়না। শ্রমিকদের সরকারি প্রতিষ্ঠানের মতো পূর্ণ বোনাস দিতে হবে। বেতন-বোনাস নিয়ে মালিকদের গড়িমসির কারণে শিল্প এলাকায় যদি শ্রমিক অসন্তোষ তৈরি হয় তার জন্য মালিক ও প্রশাসন দায়ী থাকবে।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, শ্যামপুরে অবস্থিত ঢাকা ইউনাইটেড রি-রোলিং মিলস ও মোল্লা স্টিল রি-রোলিং মিলস এবং সিদ্ধিরগঞ্জে অবস্থিত শারমিন স্টিল মিলস বেআইনিভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। কারখানা বন্ধ থাকায় শ্রমিকরা অনাহারে অর্ধাহারে মানবেতর জীবনযাপন করছে। ঈদকে সামনে রেখে শ্রমিকরা পরিবার পরিজন নিয়ে দিশেহারা। কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরে অভিযোগ দিলেও এখনও সংকটের সমাধান হয়নি। নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে কারখানাগুলো চালুসহ ঈদের আগে শ্রমিকের বোনাসসহ সকল পাওনাদি পরিশোধের দাবি জানান।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।