সোনারগাঁয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে সাগর বাদশাহ (৪০) নামে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার (৩১ মার্চ) সকাল ৯টায় কাঁচপুর নয়াবড়ি এলাকায় ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের পাশ থেকে ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে মদনপুর আল-বারাকা হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। নিহত সাগর বাদশাহ মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার চর বাউসিয়া গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে। বন্দরের দেওয়ানবাগ কলাবাড়িতে তার নানির বাড়ি। সেখানেই দীর্ঘদিন যাবত তিনি বসবাস করে আসছিলেন। এদিকে, সাগর বাদশাহকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে দাবি পরিবারের।
নিহতের মা রাবেয়া বেগম বলেন, আমার পুতেরে সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ফোন কইরা নিয়া গেছে। গিয়া দেখি ভাঙ্গারির দোকানগুলার সামনে অর জুতাগুলা পইরা আছে। আমার পুতেরে মাইরা ফেলছে। আমরা এর বিচার চাই।
এলাকাবাসী জানায়, এ ঘটনার এক সপ্তাহ আগে স্থানীয় গাপ্পার ও রফিকের সাথে টাকা পাওনা দেনা নিয়ে সাগরের সাথে দ্বন্দ্ব হয়। সে সময় তারা সাগরকে ও তার স্ত্রী জায়েদাকে মারধর করে। এ নিয়ে নিহতের মা রাবেয়া বেগম বাদি হয়ে বন্দর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। অভিযুক্তরা হলো, বন্দরের দেওয়ানবাগ এলাকার মৃত নুরুল হকের ছেলে গাপ্পার (৪০) ও একই এলাকার মো. বাচ্চু মিয়ার রফিক (৩২)।
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. রেজাউল হক জানান, রোববার সকাল ৯টার দিকে পুলিশ গিয়ে বাদশাহ নামে এক ব্যক্তিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। আমরা ঘটনাস্থলের নিকটে নাভনা ইউনাইটেড সিএনজি স্টেশনের সিসি ক্যামেরা চেক করেছি। সেখানে দেখা যায়, ভোরের দিকে দ্রুতগামী একটি বাস তাকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়।
সোনারগাঁ থানার সেকেন্ড অফিসার পঙ্কজ কান্তি সরকার জানান, লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য নারায়াণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তীতেতে বিস্তারিত জানানো হবে।
সোনারগাঁ থানার পুলিশ পরিদর্শক এসএম কামরুজ্জামান বলেন, এ ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ দেখেছি। ভোর বেলায় একটি বাসের ধাক্কায় যুবক মহাসড়কের পাশে ছিটকে পড়ে। আমরা বাসটিকে আটকের চেষ্টায় আছি।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।