শিল্প পুলিশের ডিআইজি মো. আজাদ মিয়া বলেছেন, ঈদের ছুটিতে সবাই এক সঙ্গে বাড়ি যেতে চাইলে রাস্তাঘাটে ট্রাফিক জ্যাম সৃষ্টি হবে। এজন্য কারখানার মালিকপক্ষকে আমরা অনুরোধ করেছি তারা যাতে ধাপে ধাপে ছুটি দেন। গার্মেন্টসসহ শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোতে ৩-৪ দিনে ধাপে ধাপে ঈদের ছুটি দেয়া হলে রাস্তাঘাটে চাপ কম পড়বে, ঈদ যাত্রাও সহনীয় হবে। ঈদের পূর্বেই শ্রমিকদের বেতন-বোনাস যাতে পরিশোধ করা হয় সেটা নিয়ে কাজ করছে শিল্প পুলিশ। আমাদের কাছে গোয়েন্দা তথ্য আছে কোন কোন প্রতিষ্ঠানে সমস্যা হতে পারে।
বুধবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে কাঁচপুরে এ্যাসকোয়্যার লিমিটেড গার্মেন্টস নামে এক রপ্তানিমুখী কারখানা পরিদর্শনে এসে এ কথা বলেন তিনি। এসময় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান, পুলিশ সুপার (শিল্প পুলিশ-৪) শারমিন আক্তার, সহকারি পুলিশ সুপার মো. আইনুল হক, এসএম আজিজুল হক, গনেশ গোপাল বিশ্বাস, পরিদর্শক সেলিম বাদশা প্রমুখ।
শিল্প পুলিশের ডিআইজি আজাদ মিয়া বলেন, শ্রম মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ঈদের ছুটি ঘোষণা করা হবে সেটা যেন শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোতে ধাপে ধাপে দেয়া হয়। ধাপে ধাপে ছুটি দেয়া হলে রাশ কম হবে, যানজটের চাপ কম হবে। আগামী ১০ অথবা ১১ এপ্রিল ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গার্মেন্টসসহ অন্যান্য শিল্প সেক্টরে যাতে ঈদের পূর্বে বেতন ভাতা-বোনাস পরিশোধ করা হয় শ্রমিক-মালিক প্রতিনিধি এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, শিল্প পুলিশ সবাই মিলে একাধিক সভা করা হয়েছে। আমরা মালিক প্রতিনিধিদের বলেছি, ঈদের পূর্বে তারা যাতে শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধ করেন। কারণ ঈদের পূর্বে বেতন-বোনাস পরিশোধ করা না হলে শ্রমিক বিক্ষোভ, রাস্তাঘাটে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে। এটা যেন না হয় আমাদের দিক থেকে আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি।