সিদ্ধিরগঞ্জে নৌবাহিনীর সাবেক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা মরহুম আ. মান্নান দেওয়ানের বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি হয়েছে। ডাকাতদল নগদ ১২ লাখ টাকা ও ৭০ ভরি স্বর্ণালঙ্কারসহ প্রায় ১ কোটি টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার (১৭ এপ্রিল) দিবাগত রাত ৪টার দিকে জালকুড়ি তালতলা দেওয়ান মঞ্জিলে। ডাকাতদল বাড়িতে ঢুকে বিআইডব্লিউটিএর ঠিকাদারী ব্যাবসায়ী ও মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে রায়হান উদ্দিন দেওয়ান ওরফে মুন্না দেওয়ান (৪৫), তার স্ত্রী সোহানা দেওয়ান (৩৫) ও মুন্না দেওয়ানের মা রাশিদা দেওয়ান (৭৫) কে বেঁধে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে এই ডাকাতির ঘটনা ঘটায়।
মুন্না দেওয়ানের ভগ্নিপতি মিজান জানান, বুধবার দিবাগত রাত পৌনে ৪টার দিকে গ্রিল কেটে ডাকাতরা ঘরে ঢোকে। দোতলায় আমার শ্যালক মুন্না দেওয়ান তার স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে ছিল। সেখানে গিয়ে তাকে ঢেকে বলে আপনি কী লিটন দেওয়ান। এটা শুনে সে দরজা খুলে দেয়। পরে তারা তাকে বেঁধে ফেলে এবং তার স্ত্রীর গহনা খুলে নেয় এবং আলমারি থেকে টাকা ও গহনা হাতিয়ে নেয়। এরপর তারা আমার শ্যালককে নিয়ে নিচতলায় গিয়ে আমার শ্বাশুড়ির ঘরে ঢুকে ডাকাতি করে। ডাকাতরা প্রায় ৪০ মিনিট ডাকাতির কাজ শেষ করে আজানের আগে বের হয়ে যায়। সব মিলিয়ে নগদ ১০ লাখ টাকা, প্রায় ৭০ ভরি স্বর্ণালংকারসহ কোটি টাকার মালামাল নিয়ে গেছে।
হাজী রাশিদা দেওয়ান বলেন, ফজরের আযানের আগে আমি রোজার সেহরি খাওয়ার জন্য তৈরী হয়ে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করে বসি। এসময় আমার ছেলে মুন্নাকে দিয়ে আমাকে ডাক দিয়ে ডাকাতদল দরজা খুলতে বলে। হয়তো ছেলের শরীরটা ভাল না তাই এত রাতে আমাকে ডাকছে এটা মনে করে আমি দরজা খুলে দেই। সঙ্গে সঙ্গে ৬/৭ জনের ডাকাতদল ঘরে ঢুকে আলমারী খুলে মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যায়। আযানের সামান্য আগে ডাকাতদল বের হয়ে যায়।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক জানান, গ্রিল কেটে ডাকাতির ঘটনাটি ঘটেছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। ডাকাতির মালামাল উদ্ধার ও ঘটনা তদন্তে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।