ফতুল্লায় আবারও দু’গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (৩১ মে) দুপুরে ফতুল্লার বক্তাবলী ইউনিয়নের আকবরনগর এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে। সংঘর্ষ চলাকালে এলাকার বিভিন্ন বসতঘরে ব্যাপক ভাংচুর ঘটে। পরবর্তীতে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এসময় অলিদ (৪০) নামে এক যুবক আহত হন। আহত যুবক আকবরনগর এলাকার মৃত দুদু মিয়ার ছেলে। তাকে স্থানীয়দের সহায়তায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রায়ই রহিম হাজী ও সামেদ আলী গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এবারের সংঘর্ষে শিশু ও কিশোর বয়সী ছেলেদের টেঁটা হাতে দৌঁড়াতে দেখা গেছে। শুক্রবার সকাল থেকে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। টেঁটা, রাম দা হাতে নিয়ে দু’পক্ষকে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া করতে দেখা যায়। এতে করে এলাকায় ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এসময় সামেদ আলী গ্রুপের অলিদ মিয়ার হাত-পায়ে ও মাথায় টেঁটাবিদ্ধ হয়।
ফতুল্লা মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (অফিসার ইনচার্জ) নূরে আজম জানান, আকবরনগরে টেঁটাযুদ্ধের সময় ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে। এতে দুর্বৃত্তরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এসময় ঘটনাস্থল থেকে রেজাউল, জিল্লুর রহমান, আসলাম ও শহিদুল্লাহ নামে ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর এদের মধ্যে একজনকে ছেড়ে দেয়া হয়। আকবরনগরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এরআগে, ২৬ মে দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত দু’গ্রুপের দফায় দাফায় সংঘর্ষ হয়। ওই সময় উভয় গ্রুপের অন্তত ১০ থেকে ১২ জন টেঁটাবিদ্ধ হয়ে আহত হয়। আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে নারায়ণগঞ্জ ৩শ’ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ও বাকিদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।