নারায়ণগঞ্জের আলোচিত ব্যবসায়ী নেতা সাব্বির আলম খন্দকার হত্যা মামলায় ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাকির খানের বিরুদ্ধে আরও ২ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেছে আদালত। বুধবার (৩ জুলাই) দুপুর দেড়টায় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ উম্মে সরাবন তহুরার আদালতে এ সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এরআগে, বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কাশিমপুর কারাগার থেকে কঠোর নিরাপত্তায় বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ও ডান্ডাবেড়ি পড়িয়ে জাকির খানকে নারায়ণগঞ্জ আদালতে নিয়ে আসে পুলিশ। হাজিরা শেষে আবারো কঠোর নিরাপত্তায় তাকে কাশিমপুর কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
এদিকে, জাকির খানকে আনার সংবাদে সকাল থেকে আদালতপাড়ায় জড়ো হয় জাকির খানের সমর্থকেরা। এজন্য আদালতপাড়ায় বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়। এই পর্যন্ত মোট ১০ জন সাক্ষী জাকির খানের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য প্রদান করেছে।
এ বিষয়ে জাকির খানের আইনজীবী এড. রবিউল হোসেন বলেন, আজকে শফিক এবং আমিন নামের দু’জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করেছে। তারা মামলার ৯নং এবং ১০নং সাক্ষী। তারা আদালতকে বলেছে যে, তারা কিছুই দেখেন নাই; তারা কিছু জানে না। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত আগামী ১৬ জুলাই পরবর্তী শুনানির তারিখ নির্ধারণ করেছেন।
প্রসঙ্গত, ২০০৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন ব্যবসায়ী নেতা সাব্বির আলম খন্দকার। এ হত্যাকান্ডের পর তার বড় ভাই এড. তৈমূর আলম খন্দকার বাদি হয়ে ১৭ জনকে আসামী করে ফতুল্লা থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর মোট ৯ জন তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিবর্তন করা হয়। পরবর্তীতে মামলাটি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) এ স্থানান্তর করা হয়। সিআইডির এএসপি মসিহউদ্দিন দশম তদন্তকারী কর্মকর্তা দীর্ঘ প্রায় ৩৪ মাস তদন্ত শেষে তিনি ২০০৬ সালের ৮ জানুয়ারি আদালতে ৮ জনকে আসামী করে চার্জশীট দাখিল করেন। মামলা থেকে সাবেক এমপি আলহাজ¦ মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন, তার শ্যালক জুয়েল, শাহীনকে অব্যাহতি দিয়ে সাবেক ছাত্রদল সভাপতি জাকির খান, তার দুই ভাই জিকু খান, মামুন খানসহ মোট ৮ জনকে আসামী উল্লেখ করা হয়।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।