নারায়ণগঞ্জের বাজারগুলোতে আবারও অস্থির হয়ে উঠছে পেঁয়াজের বাজার। ৩ দিনের ব্যবধানে ১০ টাকা বেড়ে প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১শ’ টাকায়। এদিকে দাম বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন ক্রেতারা। বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) শহরের দ্বিগুবাবুর বাজারসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
সরবরাহ সংকটের কারণে পেঁয়াজের দাম বাড়ছে বলে জানায় খুচরা ব্যবসায়ীরা। তারা জানান, কোরবানির ঈদের সময় বাজারে ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে পেঁয়াজ। যা এখন ১শ’ থেকে ১শ’ ১০ টাকায় পৌঁছেছে। এই হিসেবে ১৫ দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজ কেজিতে ২০ টাকা বেড়েছে। আর গত ৩ দিনেই বেড়েছে ১০ টাকা।
বাজার করতে এসেছেন বেসরকারি চাকরিজীবী সুলতান আহম্মেদ। তিনি বলেন, বাজারে সব কিছুর দামই চড়া। এখন ধরেন পেঁয়াজের দাম বলছে ১শ’ টাকা। আধাঘণ্টা পর এর দাম ৮০ টাকাও হতে পারে আবার ১শ’ ২০ টাকাও বিক্রি করতে পারে।
বাজারের একজন বিক্রেতা জানান, আলাদা করে কারও কাছে পেঁয়াজের মজুত নেই। গৃহস্থদের কাছে যা আছে সেগুলোই ব্যবসায়ীদের কাছে আসছে। গৃহস্থরা এবার আস্তে আস্তে বাজারে পেঁয়াজ ছাড়ছে। সব একবারে ছাড়েনি। তাই দাম উঠানামা করে।
পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানায়, ভারত থেকে ৪-৫ মাস যাবত পেঁয়াজ আমদানী বন্ধ ছিল। এর ফলে বাজারে সরবরাহ কম ছিল। সেসময় মানুষ বেশি পরিমাণে দেশি পেঁয়াজ কিনেছেন। পরে আবার ভারত পেঁয়াজ রপ্তানীর অনুমতি দেয় কিন্তু এর ওপর ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। এতেই দেশে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায়। ফলে বাজারে আমদানী করা পেঁয়াজের দাম দেশি পেঁয়াজের চেয়েও বেশি পড়ছে। এছাড়া বর্তমানে ভারত থেকে কম পরিমাণে পেঁয়াজ আমদানী হচ্ছে বলেও জানান ব্যবসায়ীরা।
এদিকে কৃষি বিভাগ বলছে, দেশে বছরে পেঁয়াজের চাহিদা ৩০ লাখ টন। ২০২২-২৩ অর্থবছরে উৎপাদন হয়েছে ৩৫ লাখ টন। হিসাব অনুযায়ী চাহিদার বিপরীতে উৎপাদন বেশি আছে। এ হিসেবে বাজারে পেঁয়াজের ঘাটতি হওয়ার কথা নয়।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।