শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাবার পর থেকেই আত্মগোপনে রয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত জনপ্রতিনিধিরা। অনেকে আবার পালিয়ে গেছেন। আবার কিছু কিছু জনপ্রতিনিধি আড়ালে থেকেই চালিয়ে যাচ্ছেন তাদের কাজ। নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনেও এমনটা দেখা দিয়েছে। সরকার পতনের পর প্রকাশ্যে আসছেন না ওইসব কাউন্সিলর। নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন (এনসিসি) এর ২৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে বেশ কয়েকজন কাউন্সিলর কার্যালয়ে আসছেন না। তবে ওয়ার্ড সচিবরা জানিয়েছেন, মেয়র ও কাউন্সিলররা অনুপস্থিত থাকলেও সেবা কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। কাউন্সিলরের পরিবর্তে তারাই সব কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনে মোট ২৭টি ওয়ার্ড রয়েছে। আর এই ২৭টি সাধারণ ওয়ার্ড নিয়ে ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড। বর্তমানে সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ড কাউন্সিলররা এলাকায় থাকলেও প্রায় ৬-৭ জন কাউন্সিলর আত্মগোপনে রয়েছেন। নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের যেসব কাউন্সিলর বর্তমানে আড়ালে কিংবা আত্মগোপনে রয়েছেন তারা হলেন, ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতি, ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রুহুল আমিন, ১০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইফতেখার আলম খোকন, ১৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল করিম বাবু এবং ১৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামরুল হাসান মুন্না উল্লেখযোগ্য। এদিকে, অনেকে আবার আড়ালে চলাচল করলেও গণমাধ্যমের কাছে তা স্বীকার করতে অনিচ্ছুক। এসকল ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কাজ করছেন তাদের ওয়ার্ড সচিবরা।
৮নং ওয়ার্ড সচিব মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, কাউন্সিলর সাহেব প্রতিদিন কার্যালয়ে আসেন না। তবে, ওয়ার্ড বাসিন্দারা তাদের নাগরিক সেবা পাচ্ছে।
১০নং ওয়ার্ড সচিব মো. আমির হোসেন বলেন, কাউন্সিলর সাহেব মাঝে মাঝে আসেন। এছাড়া ওয়ার্ডবাসীর যাবতীয় সেবা তার অনুপস্থিতিতে আমিই দিচ্ছি। সেবা প্রদানে আমাদের কার্যালয় সব সময় খোলা।
১৭নং ওয়ার্ড সচিব মো. রিয়াদ হোসেন বলেন, কাউন্সিলর সাহেব নিয়মিত কার্যালয়ে না আসলেও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তিনি সই করে দেন। আগের তুলনায় এখন মানুষ কম আসছে। তবে, আমাদের সেবা প্রদানে কোন ঘাটতি নেই।
১৮নং ওয়ার্ড সচিব রিমা আক্তার বলেন, কাউন্সিলর সাহেব মাঝে মাঝে আসেন। গুরুত্বপূর্ণ যেসব স্বাক্ষরের প্রয়োজন হয় সেগুলো করে যান। এছাড়া নাগরিক সেবা প্রদানে কোন রকমের সমস্যা হচ্ছে না।
এ বিষয়ে কাউন্সিলর আব্দুল করিম বাবু ও কাউন্সিলর কামরুল হাসান মুন্নার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের পাওয়া যায়নি।
এদিকে, কাউন্সিলরদের কাছে না পেয়ে অনেক ওয়ার্ডের বাসিন্দারা যাচ্ছেন সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলরদের কাছে। এতে করে তাদের উপর চাপ আগে থেকে বেড়েছে বলে জানান একাধিক সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।