সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইলে কিশোর হুসাইন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহতের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, ওবায়দুল কাদের, একেএম শামীম ওসমান, নজরুল ইসলাম বাবু, গোলাম দস্তগীর গাজী, কায়সার হাসনাত, আজমেরী ওসমান, অয়ন ওসমানসহ ৩৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। বুধবার (২১ আগস্ট) রাত ১১টার দিকে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোজাম্মেল হক। এরআগে বুধবার বিকেলে নিহত হুসাইনের বাবা মানিক মিয়া বাদি হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার অন্য আসামীরা হলেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী ইয়াসিন, সভাপতি মজিবুর রহমান, মিজমিজি পশ্চিমপাড়া এলাকার স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সফিকুল ইসলাম, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবলীগের আহ্বায়ক ও এনসিসি ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতি, মতির অন্যতম সহযোগী পানি আক্তার, মতির সহযোগী মানিক মাস্টার, মতির ভাগিনা মামুন, কাউন্সিলর নূর উদ্দিন মিয়া, কাউন্সিলর শাহজালাল বাদল, সাবেক কাউন্সিলর ও জেলা বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সভাপতি সিরাজ মন্ডল, বঙ্গবন্ধু কর্মজীবী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি পাইনাদী এলাকার চাঁন মিয়া, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সহ-সভাপতি হিরাঝিল এলাকার শিব্বির আহমেদ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য হিরাঝিল এলাকার ইকবাল হোসেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক আটিগ্রাম এলাকার তাজিম বাবু, থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মিজমিজি দক্ষিণপাড়া এলাকার আমিনুল হক রাজু, কদমতলী এলাকার যুবলীগ নেতা শুটার মনির, সুমিলপাড়া এলাকার যুবলীগ নেতা গুলু মেম্বার, হিরাঝিল এলাকার যুবলীগ নেতা হুমায়ুন কবির ওরফে মোটা কবির, সিআইখোলা এলাকার যুবলীগ নেতা মো. সোহেল, যুবলীগ নেতা মো. মানিক সরকার, মিজমিজি বাতানপাড়া এলাকার যুবলীগ নেতা মো. শরিফ, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহ নিজাম, সিদ্ধিরগঞ্জ শ্রমিকলীগের সভাপতি পাইনাদী এলাকার সামাদ ব্যাপারী, সাবেক কাউন্সিলর মো. ওমর ফারুক, আদমজী নতুন বাজার এলাকার সেলিম মজুমদার, কদমতলী এলাকার ত্রাস তানজিম কবির সজু, সিআইখোলা এলাকার রমজান, জাতীয় শ্রমিকলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি শিমরাইল এলাকার মতিন মাস্টার ও রূপগঞ্জের কায়েতপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জায়েদ আলী।
মামলায় মানিক মিয়া উল্লেখ করেন, ২১ জুলাই অআওয়ামী দুষ্কৃতিকারীরা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরর নির্দেশে পিস্তল, শর্টগান, ককটেল ও ইট-পাটকেলসহ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে শিমরাইলে তান্ডব চালায়। তখন হুসাইন শিমরাইলের ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের সামনে গুলিবিদ্ধ হন। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় কিশোর হুসাইন।
প্রসঙ্গত, এরআগে ২১ জুলাই সিদ্ধিরগঞ্জের মাছ বিক্রেতা মিলন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যাওয়ার ঘটনায় ১৮ আগস্ট সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় দায়েরকৃত মামলায় শেখ হাসিনা ও শামীম ওসমানসহ অনেককে আসামী করা হয়।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।