Logo
HEL [tta_listen_btn]

বন্দরের ত্রাস খান মাসুদ লাপাত্তা

ছাত্র না হয়েও ছাত্রলীগ নেতা! দিনমজুরের ছেলে হয়েও মাদক ব্যবসা এবং চাঁদাবাজির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে যাওয়া! দলীয় কোন পদে না থেকেও বন্দর এলাকায় দলের প্রধান ব্যক্তি বনে যাওয়া খান মাসুদের অত্যাচারে অতিষ্ট ছিল বন্দরবাসী। তার এমন ক্ষমতাবান হয়ে উঠার পেছনে কাদের পৃষ্ঠপোষকতা ছিল তাও কারও অজানা নয়। এমন একজন ব্যক্তি সবার ঘৃণার পাত্র হলেও ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পেতোনা। এমন কোন অপকর্ম নেই যা তার দ্বারা হয়নি। দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরাও তার ভয়ে তটষ্ট ছিল। সরকার পতনের সাথে সাথেই গা ঢাকা দেয় বন্দরের ত্রাস হয়ে উঠা খান মাসুদ। তার মত একজন নিম্ন শ্রেনীর কুখ্যাত ব্যক্তির বিচার না হলে ভবিষ্যতেও অসংখ্য খান মাসুদের জন্ম হবে। তাই দলমত নির্বিশেষে বন্দরবাসী সবার প্রত্যাশা তাকে বিচারের আওতায় আনা হোক। বিশাল সম্পদের উৎস উদঘাটন করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হোক। তার সহযোগীদের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। সাংবাদিক নামধারী কিছু অপসাংবাদিক যাদের সহায়তায় তাকে এমন ক্ষমতাবান হতে সাহায্য করেছে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া অত্যন্ত জরুরি বলে অভিমত বন্দরবাসীর। তার সৃষ্ট সন্ত্রাসী বাহিনীর অনেকেই রং বদল করে অন্য কারো হয়ে একই রকম অপকর্মে লিপ্ত হওয়ার সুযোগ খুঁজছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এখনও স্বাভাবিক দায়িত্ব পালনে সক্ষম হয়ে উঠতে না পারায় তার দোসরগণ সুযোগের অপব্যবহার করতে পারে। এ ব্যাপারে দলমত নির্বিশেষে সবার ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধের মাধ্যমেই তাদের প্রতিহত করা সম্ভব। খান মাসুদের বিচার এবং তার সহযোগীদের প্রতিহত করা বন্দরবাসীর প্রাণের দাবি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Theme Created By Raytahost.Com