Logo
HEL [tta_listen_btn]

আনু হত্যামামলা: এজাহারভুক্ত আসামীদের শাস্তির দাবিতে স্মারকলিপি

filter: 0; jpegRotation: 180; fileterIntensity: 0.000000; filterMask: 0; module:1facing:0; hw-remosaic: 0; touch: (0.5902778, 0.5902778); modeInfo: ; sceneMode: Auto; cct_value: 0; AI_Scene: (-1, -1); aec_lux: 131.0; hist255: 0.0; hist252~255: 0.0; hist0~15: 0.0;

নিজস্ব সংবাদদাতা
যুবদল নেতা আনোয়ার হোসেন আনু হত্যার ঘটনায় মাদক সন্ত্রাসী ও ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব রাসেল মাহমুদসহ এজহারভুক্ত আসামীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে জেলা প্রশাসক ও জেলা প্রশাসনের কাছে ম্মারকলিপি প্রধান করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) সকালে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে এ স্মারকলিপি প্রদান করে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাব চত্বরে মানববন্ধন করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন, মহানগর যুবদলের সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসেন আনুর আত্মীয় স্বজন, জেলা যুবদলের নেতৃবৃন্দসহ স্থানীয় এলাকাবাসী।
মহানগর যুবলদ নেতা আনোয়ার হোসেন আনু হত্যার ঘটনায় সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে জেলা প্রশাসক ও জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে নিহতের বড় ভাই হাজী আবুল কাশেম বাদশার স্বাক্ষরিত স্মারকলিপিতে উল্লেখ করেন, চাচাতো ভাইয়ের ছেলে ভাতিজা রাসেল মাহমুদ ও চাচী পান্নার পরকীয়ার ঘটনার জেরে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে ছোট ভাই আনুর মেয়ে আমার আরেক ভাতিজির কাছে ফোন করে জানায়, ওর বাবাকে পাওয়া যাচ্ছেনা। পরমুহূর্তে আমরা বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ করতে থাকি, কোথাও তার কোন খবর মিলেনি। বিকেল ৫টার সময় মাসদাইর ঈদগাহ সংলগ্ন হেলেনা কটেজ এর ১০ তলা বিল্ডিংয়ের লিফটের কোর জায়গায় আমার ছোট ভাই আনোয়ার হোসেন আনুর লাশ পাওয়া যায়। তাৎক্ষণিক প্রশাসনের সহায়তা নিয়ে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। একই ভবনে তার ছেলে-মেয়েকে নিয়ে ভাড়া থাকতো। আমরা আশঙ্কা করছি, তার ছেলে-মেয়ে, ওর মা এবং তার বর্তমান স্বামী রাসেল এর সাথে যোগসাজশ করে পরিকল্পিতভাবে এই হত্যাকান্ড ঘটায়। রাসেল অতীতে অনেকবার আনোয়ার হোসেন আনুকে মারার চেষ্টা করে যা কোনভাবে সফল হয়নি। রাসেল আমাদের সম্পর্কে ভাতিজা হয়, আমার জেটাতো ভাইয়ের ছেলে। রাসেলের সাথে তার স্ত্রীর পরকীয়ার সম্পর্ক জানতে পারার পর থেকে আমার ছোট ভাই আনোয়ার হোসেন আনু তাকে বাড়িতে আসতে বারণ করে কিন্তু রাসেল বিভিন্ন উপায়ে তার স্ত্রী পান্নার সাথে যোগাযোগ বজায় রাখে আর এ বিষয়টি একপর্যায়ে পারিবারিকভাবে উত্তেজনা সৃষ্টি করে। দেওভোগের বাড়িতে বসবাসের কারণে স্ত্রী পান্না রাসেলের সাথে সহজেই মেলামেশা করতে না পারার কারণে সে স্বামীকে অন্যত্র বাসা নিতে চাপ প্রয়োগ করে। স্বামী আনোয়ার হোসেন পত্রিক ভিটা ছেড়ে মাসদাইরে একটি ফ্ল্যাট বাসা ভাড়া নিতে বাধ্য হয় এবং সেখানে তার অনুপস্থিতিতে তার ছেলে-মেয়ের সহযোগিতায় রাসেল বিভিন্ন সময় যাওয়া আসা করতে থাকে।
স্মারকলিপিতে আরও উল্লেখ করা হয়, নিহত আনোয়ারের ফ্ল্যাটে রাসেলের যাওয়া আসার খবর জানতে পারার পর তার স্ত্রীকে চাপ দিলে সে আনোয়ার হোসেনকে মারার জন্য ২০১৯ সালের জানুয়ারির ২ তারিখে আমলাপাড়া এলাকার একটি ফ্ল্যাটে রাসেলের সাথে দেখা করে। আর এই খবর আনোয়ার জানতে পেরে সাথে সাথে সে তার বন্ধু বান্ধব নিয়ে আমলাপাড়া ছুটে যায় এবং অপ্রীতিকর অবস্থায় তাদের দু’জনকে হাতেনাতে ধরে। ধরার পর পান্না ও রাসেল উভয়েই হাত জোড় করে ক্ষমা চায় আর ওয়াদা করে তারা আজকের পর থেকে আর কোনো যোগাযোগ রাখবে না। কিন্তু তারপরেও তারা অবৈধ যোগাযোগ বজায় রাখে। এ বিষয় নিয়ে পারিবারিকভাবে অশান্তি দেখা দিলে স্ত্রী পান্না পরকীয়ায় আসক্ত হয়ে স্বেচ্ছায় আনোয়ার হোসেন আনুকে ২০২০ সালের ৩০ জুন তালাক নোটিশ পাঠায় এবং প্রাপ্ত বয়স্ক ছেলে-মেয়েকে তার বাবার কাছে রেখেই ২০২১ সালের ৩ ডিসেম্বর রাসেলের সাথে বিবাহ কাজ সম্পন্ন করে। মায়ের প্ররোচণায় ছেলে-মেয়েও বাবার সাথে প্রতিনিয়ত খারাপ ব্যবহার করতে থাকে। এমন কি মাঝে মাঝে ছেলে-মেয়ে বাবার গায়ে হাত তুলতো। কিন্তু আমার ছোট ভাই লজ্জায় কাউকে কিছু বলতো না। ওরা প্রতিনিয়ত মানসিক যন্ত্রনা দিয়ে নাস্তানাবুদ করে রাখতো। আমরা পারিবারিকভাবে শতভাগ নিশ্চিত হয়ে বলতে পারি এই নৃশংস হত্যাকান্ড তার দুই সন্তান, তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রী পান্না ও পান্নার বর্তমান স্বামী রাসেল ঘটিয়েছে। এই রহস্যজনক হত্যাকান্ডের ঘটনায় আইনি সহায়তা পেতে আমরা ফতুল্লা মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করি।
এ বিষয়ে জেলা যুবদলের আহ্বায়ক সাদেকুর রহমান সাদেক বলেন, আনোয়ার হোনেন আনু জেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও মহানগর যুবদলের সহ-সভাপতি, আমার সহযোদ্ধা ও ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিল। তার মৃত্যুতে আমরা খুবই মর্মাহত। স্মরকলিপি দেয়ার সময় জেলা প্রশাসক আমাদের আশ্বস্ত করেছে এবং ভারপ্রাপ্ত জেলা পুলিশ সুপার আমির খসরু মহোদয় আমাদের সাথে মন খুলে কথা বলেছে। এছাড়া সর্বোচ্চ সহযোগিতার আশ্বস দিয়েছেন। অচীরেই রাসেল মাহমুদসহ সকল আসামী গ্রেফতার হবে বলে আমরা দাবি করছি।
বাদির পক্ষের আইনজীবী এড. শিপলু বলেন, আমরা জেলা প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছি। এটা একটি চাঞ্চল্যকর মামলা হিসেবে সকল আসামীদের গেপফতার করে রিমান্ডে এনে প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি এবং গ্রেফতারকৃত আসামীদের রিমান্ডে আনার দাবি জানাচ্ছি।
স্মারকলিপি গ্রহণের পর ভারপাপ্ত জেলা পুলিশ সুপার আমির খসরু সকলের উদ্দেশে বলেন, এ ঘটনায় আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নিব এবং সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে অপরাধীদের গ্রেফতার করে বিচারে আওতায় আনবো।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Theme Created By Raytahost.Com