বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রূপগঞ্জের স্কুলশিক্ষার্থী রোমান মিয়া হত্যা মামলায় সাবেক বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী এবং গাজী গ্রুপের চেয়ারম্যান গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীককে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। ৬ দিনের রিমান্ড শেষে শুক্রবার (৩০ আগস্ট) বিকেলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নুসরাত সাহারা বিথীর আদালত তাকে কারাগারে পাঠায়। এদিন সাবেক মন্ত্রীর বিরুদ্ধে পুলিশ আর কোন মামলায় রিমান্ড আবেদন করেনি। তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন আদালত পুলিশের পরিদর্শক আব্দুর রশীদ।
তিনি জানান, শিক্ষার্থী রোমান মিয়া হত্যা মামলায় রূপগঞ্জ থানা পুলিশ ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে রোববার (২৫ আগস্ট)। সেদিন আদালত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। শুক্রবার রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এরআগে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী এবং গাজী গ্রুপের চেয়ারম্যান গোলাম দস্তগীর গাজীকে ২৪ আগস্ট রাতে রাজধানীর শান্তিনগরের বাসা থেকে গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
মামলার সংক্ষিপ্ত এজাহারে উল্লেখ করা হয়, নিহত রোমান মিয়া (১৭) উপজেলার চনপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্রের আনোয়ার হোসেনের ছেলে। সে পুনর্বাসন কেন্দ্রের একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির ছাত্র ছিল। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালাবার পর সন্ধ্যায় চনপাড়ায় ছাত্র-জনতার একটি আনন্দ মিছিল বের হয়। মিছিলকে পন্ড করতে শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের, গোলাম দস্তগীর ও গোলাম মূর্তজার নির্দেশে আওয়ামী লীগের লোকজন আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি গুলি করে। এসময় রোমানের গলা, ঘাড়, হাত, বুক ও পিঠে কয়েকটি গুলি লাগে। তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে বিনা ময়নাতদন্তেই তাকে দাফন করা হয়।
এ ঘটনায় ওই ছাত্রকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে ২০ আগস্ট রূপগঞ্জ থানায় মামলায় দায়ের নিহতের খালা রিনা খান। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীকসহ ৪৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৬০ জনকে আসামী করা হয়।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।