আজমেরী ওসমানের ঘনিষ্টজন ও সিদ্ধিরগঞ্জের দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী কাজী আমির হোসেনের অন্যতম সহযোগী গোদনাইল পদ্মা অয়েল কোম্পানীর ডিপোর চেকার ফারুক আহমেদ ফাহাদ এখনও রয়েছেন বহাল তবিয়তে। মাত্র ১৫ হাজার টাকা বেতনে যেখানে সংসারের খরচ চালানোই কঠিন সেখানে তিনি মাত্র কয়েক বছরের ব্যবধানে হয়েছেন প্রায় শত কোটি টাকার মালিক। গড়েছেন দুটি বহুতল ভবন (একটি নির্মাণাধীন) ও গাড়িসহ আরও অঢেল সম্পদ। মাত্র ১৫/১৬ হাজার টাকার বেতনে কি করে গড়লেন তিনি এসব? এমন প্রশ্ন আজ জনমনে। শুধু তাই নয়, এতসব অভিযোগ নিয়ে এবং আজমেরী ওসমানদের দোসর হওয়া সত্বেও ফাহাদ কিভাবে ওই ডিপোতে এখনও বহাল রয়েছেন এটা নিয়েও দেখা দিয়েছে রহস্য।
স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ফাহাদ যে টাকা বেতন পান তা দিয়েতো সংসার চলারই কথা না আবার গাড়ী-বাড়ি? কোথা থেকে এলো এত টাকা? এ থেকেই বুঝা যায়, তিনি শতভাগ দুর্নীতির সাথে যুক্ত ছিলেন। রক্ষক হয়েও তিনি ভক্ষক হিসেবে কাজ করেছেন। তার দায়িত্ব ছিলো তেলের মাপ ঠিকঠাক মত আছে কি না তা চেক করা। বেশি-কম থাকলে ইনচার্জকে বলা। কিন্তু তিনি কি করেছেন? তিনি অবশ্যই চোরাইভাবে তেল বাইরে বিক্রি করেছেন। তা না হলে তিনি এত সম্পদের মালিক কোনদিনও হতে পারতেন না।
এলাকাবাসী আরও জানায়, আমরা একটি বেসরকারি টেলিভিশনে ফাহাদের দুর্নীতির চিত্র দেখেছি। আমরা যতদূর জানি তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ারও কথা ছিলো। কিন্তু ডিপো কর্তৃপক্ষ কি ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন তা জনগণের সামনে প্রকাশ করতে হবে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সব দুর্নীতিবাজ, সব সন্ত্রাসী পালিয়ে গেছে। কিন্তু ওই ওসমান পরিবারের দোসর হওয়া সত্ত্বেও কিভাবে দুর্নীতির বরপুত্র ফাহাদ ডিপোতে বহাল রয়েছে। এটা একটা বড় রহস্য। আমরা চাই সকল রহস্যের উন্মোচন হোক। এসব দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ডিপো কর্তৃপক্ষ দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে আমরা এলাকাবাসী আর বসে থাকবো না। প্রয়োজনে আমরা ডিপো ঘেরাও কর্মসূচি পালন করে ওই দুর্নীতিবাজদের এখান থেকে উৎখাত করবো।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।