ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইলমোড়ে সড়ক ও জনপদ (সওজ) বিভাগের দুর্নীতি এখন ওপেন সিক্রেট। ওই সড়কে গর্ত ভরাট করা হচ্ছে পাথর ঢালাই না করে নিম্মাননের ইট দিয়ে। গত বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয় এই কর্মকান্ড। ব্যস্ততম মহাসড়কের শিমরাইলমোড়ে গিয়ে এই চিত্র দেখা গেছে। নারায়ণগঞ্জ একটি ট্রাক বোঝাই করে ইট এনে মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে খানাখন্দ ভরাট করা হচ্ছে সাদা বালু ও নিম্নমানের ইট দিয়ে। গর্তর মধ্যে ভিটিবালু দেয়ার সাথে সাথে বৃষ্টিতে বালুগুলো ধুয়ে চলে যেতে দেখাগেছে। নিম্নমানের ইট দিয়ে গর্ত ভরাট করার কারণে উঁচু নিচু রয়ে গেছে মহাসড়ক। যার কারণে দূরপাল্লাগামী যানবাহনসহ স্থানীয় লোকাল যানবাহনও চলছে হেলেদুলে। জাতীয় মহাসড়ক এভাবে পাথর ও বিটুমিনবিহীন ইট দিয়ে সড়কের গর্ত ভরাট করার কারণে কত সময় টিকবে এটাই হলো সকলের প্রশ্ন । মহাসড়কে বড় বড় ও ভারী কনটেনার কার্গো ও লোডবাহী ট্রাক চলাচলের কারণে গর্তে দেয়া ইট বেশীদিন টিকবে না বলে জানান মো. রফিকুল ইসলাম ও মো. গিয়াস উদ্দিন নামে দুই কার্গো চালক।
লোডবাহী একটি ট্রাকের চালক আব্দুল হক বলেন, গর্তে ইট দিয়ে কর্তৃপক্ষ দায়সাড়াভাব কাজ করে নিজেদের আখের গোচাচ্ছেন বলে তিনি মনে করেন। কারণ ভারী যানবাহন চলাচলের কারণে ওই ইটের অস্তিত্ব আর কয়েকদিন পর খুঁজে পাওয়া যায়না বলে মনে করেন ট্রাক চালক মো. হাবিবুল্লাহ । বড় বড় অসংখ্য গর্ত রয়েছে মহাসড়কের এই স্পটে। গর্তের মধ্যে বিশেষ করে ছোট ছোট যানবাহন আটকে যেতে দেখা গেছে। এমনকি ছোট যানাবাহন গর্তে পড়ে উল্টে যাওয়ারও ঘটনা ঘটছে। এ কারণে প্রায়ই মহাসড়কের এই পয়েন্টে যানজটেরও সৃষ্টি হচ্ছে।
মহাসড়কে চলাচলরত বাস, ট্রাক, লরীসহ বিভিন্ন যানবাহনের একাধিক চালকের সাথে আলাপকালে তারা নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বৃষ্টির আগে গত মাসে বেশ খরা ছিল কিন্তু তখন তারা মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ এই শিমরাইলমোড়ে খানাখন্দগুলো পরিকল্পিতভাবে পাথর বিটুমিন দিয়ে ঢালাই কাজ না করে এখন বৃষ্টির মধ্যে তাড়াহুড়ো করে সাদা বালু ছড়িয়ে আস্ত ইট বিছিয়ে দিয়ে কার অপচয় ছাড়া আর কিছুই না । ইট দিয়ে গর্ত ভরাট করা অর্থের অপচয় ছাড়া আর কিছুই না বলে মনে করেন স্থানীয়রা।
নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী আহসান উল্ল্যাহ মজুমদার বলেন, আমরা কোন টেন্ডার আহবান না করে অমরা জরুরি মুহূর্তে নিজেরা এই ইট দিয়ে গর্ত ভরাট কাজ করছি এবং খুব দ্রুত টেন্ডার করে পাথর দিয়ে ঢালাই কাজ করা হবে বলে ওই কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
হাইওয়ে পুলিশের শিমরাইল ক্যাম্পের ইনচার্জ (টিআই) মো. আবু নাঈম সিদ্দিকী বলেন, মহাসড়কে গর্তের কারণে যানবাহন আটকে গিয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনা সংঘটিত হচ্ছে সেই সাথে যানজটের কথা স্বীকার করেন ওই পুলিশ কর্মকর্তা। এ কারণে আমদের হাইওয়ে পুলিশকে অনেক বেগ পেতে হচ্ছে।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।