সিদ্ধিরগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মোনায়েল আহমেদ ইমরান (১৬) নামে এক কিশোর গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় শেখ হাসিনা ও শামীম ওসমানসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাতে নিহতের বাবা মোহাবউদ্দিন ওরফে মো. ছোয়াব মিয়া (৪৫) বাদি হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার আসামীরা হলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল (৭৩), নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান (৬৪), নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহ নিজাম, (৫৬), শামীম ওসমান পুত্র অয়ন ওসমান (৩৭), বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সাবেক পরিচালক ও শামীম ওসমানের শ্যালক টিটু, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুর রহমান (৭৮), সাধারণ সম্পাদক হাজী ইয়াছিন মিয়া (৬২), থানা যুবলীগের আহ্বায়ক মতিউর রহমান মতি (৫৫), সিদ্ধিরগঞ্জ ১নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আনোয়ার ইসলাম, ৮নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর রুহুল আমিন মোল্লা, পানি আক্তার (৩৮), ছাত্রলীগ নেতা ইলিয়াস, মো. কবির হোসেন (৪৩), তানজিম কবির সজু (৪১) সহ অপ্সাতনামা আরও ১শ’ জন।
মামলার এজহারে উল্লেখ করা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ২১ জুলাই বিকেল ৩টার পর প্রধান আসামী শেখ হাসিনার নির্দেশে অন্য আসামীরা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সাইনবোর্ডস্থ পাসপোর্ট অফিস সংলগ্ন সাহেবপাড়া এলাকার পাকা রাস্তার গলিতে এলোপাথাড়ি গুলিবর্ষণ করে। তখন শামীম ওসমান হাতে থাকা অস্ত্র দিয়ে ভিকটিম মোনায়েল আহমেদ ইমরানকে উদ্দেশ্য করে গুলি ছুঁড়লে তার বুকের মাঝখানে গুলিবিদ্ধ হয়। পরবর্তীতে ওই ছেলেকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত বলে জানান।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।