নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন বলেছেন, বাংলাদেশের অনেক সুবিধাভোগী সাংবাদিক স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা ও তার সরকারের দোসর ছিলেন। আমাদের কাছে প্রমাণ আছে কিছু কিছু সাংবাদিক আমাদের দলের নেতাদের নাম এফআইআর এ লিখে দিয়েছে। অনেক সাংবাদিক ডিবির সাথে গিয়ে আমাদের লোকজনদেরকে ধরিয়ে দিয়েছেন। মুখোশ পাল্টালেও ওই সাংবাদিকদের আমরা চিনি।
তিনি বলেন, নির্বাচনে প্রার্থীতা পেতে আমার জন্য কোন সাংবাদিকের সুপারিশের প্রয়োজন নেই। সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সাথে জেলা বিএনপির এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি আরিফ আলম দীপুর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জীবন, নির্বাহী কমিটির সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আবু সাউদ মাসুদ, সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান, আবদুস সালাম, সাংবাদিক অহিদুল হক খান, রুমন রেজা প্রমুখ।
গিয়াসউদ্দিন বলেন, স্বৈরাচারের দোসরদের বিরুদ্ধে একটা কথাও আপনারা বলতে পারেননি। সাংবাদিকদের ওপর মামলা হুমকি ও মারধর করা হয়েছে। আমাদের দলের ভেতরেও তো সবাই ভালো আছে এমনটা নয়, তবে আমরা যখন দলের কোন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে অপরাধের তথ্য পেয়েছি সাথে সাথে এ্যাকশন নিয়েছি। আমার কথা হয়তো অনেকের ভালো নাও লাগতে পারে কিন্তু আমার মনে যা আছে আমি সেটা খুলে বলতে চাই, আমি মুনাফিক না।
তিনি বলেন, ১৬ বছরের আন্দোলনে সবচাইতে বেশি নির্যাতিত হয়েছে বিএনপির নেতাকর্মীরা। আরো অনেকেই স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছে। বিএনপির আন্দোলনের মধ্যে আর অন্যদের আন্দোলনের মধ্যে পার্থক্য ছিল। সর্বশেষ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এক দেড় মাসের মধ্যে গণঅভ্যুত্থান এটা কি শুধু ছাত্রদের নিশ্চয়ই না। যারা এটা বলতে চায় তারা একটা ষড়যন্ত্রের বেড়াজালে আবার দেশকে নিয়োজিত করতে চায়।
তিনি আরও বলেন, গত ১৬ বছরে সাধারণ মানুষের হৃদয়ে স্বৈরাচার সরকারের উপর ক্ষোভ তৈরি হয়েছে এবং ঘৃণার সৃষ্টি হয়েছে। কোটাবিরোধী আন্দোলনে আমাদের সন্তানরা অংশগ্রহণ করেছে। এটা নিশ্চয়ই প্রশংসার দাবি রাখেন। কিন্তু এই আন্দোলন কোন কালই সফল হতো না যদি এই আন্দোলন শুরু করে সমাপ্তির ধারা মধ্য দিয়ে সরকারের পতন ঘটাতে না পারতো। এই আন্দোলনে ছিলাম আমরা রাজনৈতিক দলগুলা যারা স্বৈরাচারীর বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন আন্দোলন করেছি এবং যারা এফেক্টেড হয়েছে জনগণ তাদের ক্ষোভ যে ছিল এই ১৬ বছরে সেটার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে ছাত্র আন্দোলনের সময়। ছাত্র জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে স্বৈরাচার পতন হয়েছে স্বৈরাচারীরা দেশ ছেড়ে পালিয়েছে।