নির্দেশনার পর থেকেই বন্ধ হয়েছে নারায়ণগঞ্জের সুপারশপে পলিথিনের ও পলিপ্রোপিলিন ব্যাগের ব্যবহার। পলিথিনের জায়গা দখল করেছে পাট, কাপড়, কাগজের তৈরি ব্যাগ। তবে পণ্য বাদেও ব্যাগগুলোকে আলাদাভাবে কিনতে বাধ্য হওয়ায় ক্রেতারা অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। যারা আলাদা করে ব্যাগ কিনতে চাচ্ছেন না তাদের জন্য আপাতত কার্টনে করে পণ্য দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে কিছু সুপারশপ প্রতিষ্ঠান। মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) বিকেলে শহরের মিনাবাজার ও স্বপ্নের মতো আউটলেটে সরেজমিনে দেখা যায় এমন চিত্র। পাটের ব্যাগের ব্যবস্থা রাখলেও মাংশ পরিবহনের ক্ষেত্রে কিছুটা বিপত্তিতে পড়তে হচ্ছে ক্রেতা-বিক্রেতাদের। তবে পেপার কাটিংকরা ব্যাগ নিয়ে আপাতত কাজ চালাচ্ছেন তারা।
এ বিষয়ে মিনাবাজরের ইনচার্জ জহিরুর ইসলাম বলেন, নির্দেশনার পর আমরা পাটের ব্যাগের ব্যবস্থা নিয়েছি। মূলত তিন আকারে এই ব্যাগগুলো আমাদের শপে পাওয়া যায়। আকার ভেদে এই ব্যাগগুলোর দাম ১৩, ১৮ ও ১৯ টাকা। আগে প্যাকেজিংয়ের যে কষ্ট ছিলো সেটা কোম্পানি বহন করতে পারবে বলেই পলিথিন আমরা ফ্রি দিয়েছি। তবে পাটের ব্যাগের দাম তুলনামূলকভাবে বেশি হওয়ায় এটা কোম্পানির একার পক্ষে বহন করা সম্ভব না। তাই আমরা স্বল্পমুল্যে এই ব্যাগের দাম নির্ধারণ করেছি। এ ছাড়া কাগজের ব্যাগ এবং কার্টনে করে পণ্য নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা রাখা আছে। আমাদের পণ্যের সাথে যে কার্টনগুলো আসে সেগুলো আগে আমরা একসাথে বিক্রি করে দিতাম। এখন সেগুলো দিয়ে যারা আলাদা ব্যাগ কিনতে চাচ্ছেন না বা যাদের পণ্য বেশি তাদের জন্য ব্যবহার করছি। কিছু ক্রেতা অভিযোগ করলেও পলিথিন বাদেই আমরা ক্রেতাদের সেবা দিচ্ছি।
মিশনপাড়া ‘স্বপ’্ন এর কাউন্টার অপারেটর উজ্জ্বল বিশ্বাস বলেন, আমাদের শপে পলিথিন ব্যাগ দেওয়া বন্ধ হয়েছে। আমদের স্টকে যেসকল ব্যাগ ছিল তা নি:শ্বেস হয়ে গেছে। আমরা এরইমধ্যে পাটের ব্যাগ আনার ব্যবস্থা নিচ্ছি। পলিথিন ব্যাগের তুলনায় পাটের বা পাটজাত ইলেমেন্ট ব্যাগের কস্টিং বেশি। তাই ক্রেতাদের কাছে আকৃতি ভেদে ৬ থেকে ১৬ টাকা মূল্যে ব্যাগ নিতে হবে। তবে ক্রেতারা চাইলে নিজের বহনের জন্য বাসা থেকে ব্যাগ আনতে পারেন।
ক্রেতা নাজমা আক্তার বলেন, পলিথিন পরিবেশের জন্য খারাপ ঠিক আছে কিন্তু পলিথিনের মতোই কিছু ব্যবহার যোগ্য আনতে হবে। চাল, ডাল, তেল সহজে কাপড় কিংবা কাগজের ব্যাগে আনা সম্ভব। কিন্তু মাছ-মাংশের ক্ষেত্রে কাগজের ব্যাগে নেওয়া সম্ভব না। মাছ-মাংশ যেভাবে পানি ছাড়ে সে হিসেবে পলিথিনের মতোই কিছু আনতে হবে। সুপারশপে পাটের ব্যাগের যে দাম রাখছে সেটা অনেক বেশি, এটা একটু কমানো উচিৎ।
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাকির হোসেন জানান, আমরা সুপার শপগুলোতে পলিথিন ব্যাগ বন্ধ হয়েছে কিনা সে ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ করছি। প্রয়োজনে আমরা জেলা প্রশাসনের সাথে যৌথভাবে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করবো।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।