নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন, বোরকা পরে পালিয়ে যাওয়া বোরকা শামীম ওসমানের দোসররা এখনো সক্রিয় থেকে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। নারায়ণগঞ্জকে বাংলাদেশের বুকে সন্ত্রাসের জনপদ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছিল এই বোরকা শামীম। আজকেও বোরকা শামীমের দোসররা এই নারায়ণগঞ্জকে লুটপাট, দুর্নীতি, গুম-খুনের মাধ্যমে ভয়ংকর জনপদে পরিণত করেছিল। এখনো তাদের অনেক নেতাকর্মী সক্রিয় আছে। নারায়ণগঞ্জ ও বাংলার মাটিতে ওই ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ ও যুবলীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। ফ্যাসিবাদী দলের যেসব নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়েছে শিগগিরই তাদের গ্রেপ্তার ও দ্রুত বিচার করে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। তা না হলে নারায়ণগঞ্জের মানুষ নিরাপদ হবে না।
রোববার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শহরের চাষাঢ়া শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের রক্তদান কর্মসূচি ও ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প কর্মসূচি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমাদের যুদ্ধ শুরু হয়েছে ২০০৯ সাল থেকে। বাংলাদেশের মানুষের হারানো গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য। সেই আন্দোলনের পরিসমাপ্তি এখনো হয়নি। যুবদল গত ১৭ বছর আন্দোলন করে রাজপথে যেভাবে রক্ত দিয়েছে, সে বিপ্লবের ফসল হিসেবে ৫ আগস্ট হয়েছে। আমি মনে করি তারা প্রাথমিকভাবে সফল হয়েছে। কিন্তু এখনো বাংলাদেশের গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে অনেক দেশি বিদেশি ষড়যন্ত্র হচ্ছে। সেই ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়ার জন্য রাজপথে থেকে ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করে এগিয়ে যেতে হবে।
তিনি আরও বলেন, নারায়ণগঞ্জে ব্যবসায়ী সংগঠন, স্কুল-কলেজসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান রয়েছে এসব প্রতিষ্ঠানে কোনো ফ্যাসিবাদী লোককে স্থান দেওয়া হবে না। এসব প্রতিষ্ঠানে যারা ফ্যাসিবাদীদের স্থান দেবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জনগণ, যুবসমাজ ও ছাত্রসমাজকে নিয়ে তাদের প্রতিরোধ করা হবে।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজলের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব সাহেদ আহমেদের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু।
এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন আনু, সদস্য ডা. মজিবুর রহমান, মহানগর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সাগর প্রধান, মহানগর যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন সেন্টু, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক নূরে এলাহী সোহাগ, মঞ্জুরুল আলম মুসা, শেখ মোহাম্মদ অপু, সাবেক সহ- সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, সাবেক সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক পারভেজ খান, আরমান হোসেন, মহানগর যুুুুবদল নেতা ফয়েজ উল্লাহ সজল, রাফি উদ্দিন রিয়াদ, সাইফুল ইসলাম আপন, সাজ্জাদ হোসেন কমল, আশিকুর রহমান অনি, মো. এরশাদ, কামরুল হাসান, অদুদ সাগর, মিনহাজ মিঠু, হাবিবুর রহমান মাসুদ, সম্রাট হাসান সুজন, জুনায়েদ মোল্লা, কাজী সাদ্দাম, এ এইচ সৌরভ, মানিক বেপারী, মো. বাবুল মিয়া, মো. বাদশা, মো. শাকিল, শফিকুল ইসলাম শফিক, শাহীন শরীফ, আরিফ খান, পলাশ বেপারী, সজিব আহমেদ, শহিদুল ইসলাম শহিদ, শাহজালাল কালু, আঃ হাকিম, রেজাউল করিম রেজা, মো. হারুন, মো. নুরুজ্জামান, মো. বাদশা, জহিরুল ইসলাম হারুন, মঞ্জু হোসেন, আরিফ চৌধুরী, আরিফ সাউদ, আঃ কাদির, সোহেল প্রধান, রাশেদুল ইসলাম রাশেদ, মাকসুদুর রহমান শাকিল, রুবেল সরদার, মাহাবুবুর রহমান, মো. সফিক, জাহিদ, শরীফুর রহমান, সাকিল, সুলতান, আরিফ, মাসুদ রানা, জিসান, মিন্টু, রমজান, সাকিল, মিরাজ, রাকিবুল ইসলাম, সামিম, কাউসার আহমেদ, আবদুল হামিদ পলাশ, মো. শাহরিয়ার, আঃ হাকিম, ইব্রাহীম, মো. জামান, সজিব, নিজাম উদ্দিন, সাগর মুন্সী, আঃ রহমান প্রমুখ।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।