সিদ্ধিরগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালীন সময়ে মো. জসিম খান (৩০) নামে এক যুবককে গুলি করে হত্যা চেষ্টার ঘটনায় সাবেক এমপি একেএম শামীম ওসমানসহ ৪৮ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতে আরও ১৫০ থেকে ২০০ জনকে অজ্ঞাত নামে আসামী করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) রাতে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আল মামুন। এরআগে বুধবার (৩০ অক্টোবর) গুলিতে আহত যুবক বাদি হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।
মামলার আসামীরা হলেন, একেএম শামিম ওসমান (৬৪), আজমেরী ওসমান (৪৫), অয়ন ওসমান (৩৭), শাহ নিজাম (৫৬), মো. মজিবর রহমান (৭৮), ইয়াসিন মিয়া (৬২), মতিউর রহমান মতি, আশরাফ উদ্দিন (৪৮), পানি আক্তার (৩৮), মানিক মাস্টার (৪৮) ভাগিনা মামুন (৪০), নূর উদ্দিন মিয়া (৫৫), নূর ছালাম (৬৫), জজ মিয়া (৫৫), নূরুল ইসলাম (৬৮), শাহজালাল বাদল (৪২), আব্দুল হাই মেম্বার (৬০), মো. কবির হোসেন (৪২), চায়না মাসুদ (৩৫), মিজানুর রহমান (৩৮), মিনহাজুর রহমান (রাইয়ান, ২৫), জিয়াউল হক জিয়া, মো. হারুনুর রশিদ, বশির আহম্মেদ (৪৮), আমিনুল হক রাজু (৫৩), রাকিব (২৮), মো. আরিফ (২৬), মুন্না (২৮), দোলন (৩০), শান্ত (২৫), ইমন, (৩২), সায়হান শরীফ (৩৪), জসিম (৩৫), আলী মিয়া, সামাদ ব্যাপারী (৫২), হাবিবুল্লাহ হবুল (৬০), মতিউর রহমান সাগর (৩৭), মাহবুবুর রহমান (৪৯), রুহুল আমিন (৪৬), হান্নান (৪২), তানজিম কবির সজু (৪০), তাজিম বাবু (৫৫), আলাউদ্দিন খান (৫৫), মাসুদ (৪০), সালাউদ্দিন সানি (৪৮) ও আহম্মেদ কাউছার (৪৮)।
মামলার এজহারে বাদি উল্লেখ করেন, গত ২০ জুলাই সিদ্ধিরগঞ্জ থানার চিটাগাং রোডস্থ বিদ্যুৎ অফিস, ভূমি পল্লীর সামনে পাকা রাস্তার উপর আন্দোলন চলাকালে আসামীরা আমাকেসহ ছাত্র-জনতার উপর অতর্কিত হামলা চালায়। আসামীরা সড়কে কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় এবং আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে ছাত্র-জনতার উপর এলোপাথাড়িভাবে গুলি চালায়। একপর্যায়ে আমার বাম হাতে গুলি লাগে। পরবর্তীতে আমাকে ঢাকা সহরোয়ার্দী পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান যে, গুলির আঘাতে বাম হাতের রক্তের নালী ছিড়ে যাওয়ায় আমি পঙ্গুত্বর পথে।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।