জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য গিয়াস উদ্দিন বলেছেন, ‘প্রেসক্লাবে ভালো সাংবাদিকের পাশাপাশি কিছু খারাপ সাংবাদিকও আছে। এই খারাপ এবং হলুদ সাংবাদিকের বিরুদ্ধেই আমি কথা বলি। আমি তাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করার জন্য ভালো সাংবাদিকদের আহ্বান জানাই। হলুদ সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে তাদেরই কথা বলা উচিত। কিছুদিন আগে ফতুল্লার একসভায় বক্তৃতকালে আমি কি বলতে চেয়েছিলাম, তা আমার সাংবাদিক বন্ধুরা বুঝতে পারেননি।’
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে চাষাঢ়া শহীদ জিয়া হল প্রাঙ্গণে মহানগর জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা-জাসাস আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন ।
এ সময় তিনি আরো বলেন, ‘প্রেসক্লাব একটি প্রতিষ্ঠানের নাম। এখানে যেসব সদস্য আছেন, তাদের মধ্যে ভালো এবং খারাপ উভয়ই থাকতে পারে। যেমন ফতুল্লায় তেলচোর, লুটেরা, মাস্তান, জায়গা দখলকারীও ওই ক্লাবের সদস্য আছেন। আমি অবাক হয়েছি এমন একটি আদর্শের পেশাকে পুঁজি করে তারা এ ধরণের কাজ করে। এই প্রেসক্লাবের নাম ব্যবহার করে ব্যবসা-বাণিজ্য লুণ্ঠন করার চেষ্টা অনেকেই করছে। এজন্য আমি বক্তৃতা দিয়েছি খারাপ সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে। যারা সাংবাদিকতার নামে লুটপাট করে তারা কেনো সেই সংগঠনের মধ্যে থাকবে! যারা ভালো সাংবাদিক আছেন, তাদের প্রশংসা আমি সকল জায়গায় করি। প্রেসক্লাবের পরিচয় দিয়ে যারা থানায় গিয়ে দালালি করেন, তাদের জন্য ভালো সাংবাদিকদের সম্মান ক্ষুন্ন হয় কিনা তা ভেবে দেখা উচিত। আমি একথা বলার পর অনেকেই নাবুঝে প্রতিবাদ করেছেন। প্রতিবাদ করার অধিকার আপনাদের আছে, তবে কি নিয়ে প্রতিবাদ করছেন সেটা ভেবে নিন। সাংবাদিক তারাই হতে পারেন যারা ভদ্র, ভালো এবং লেখাপড়া করেছেন। কিন্তু বর্তমানে যারা নিজেদেরকে সাংবাদিক পরিচয় দেন, তারা কতটুকু লেখাপড়া করেছেন। তাদের অনেকেরই কোন যোগ্যতা নেই, কাজ করার ক্ষমতা নেই। কিন্তু তারপরও একটা সাংবাদিকের কার্ড জোগাড় করে সেটাকে বেঁচে খায়। আপনারা ভাবেন প্রেসক্লাবকে বললে সবাইকে বলি, নিশ্চয়ই নয়। প্রেসক্লাবের সমালোচনা করতে খারাপদের সমালোচনা করাকে বোঝাই। আমি বিশ^াস করি, জেলার সকল প্রতিষ্ঠান যদি সুষ্ঠুভাবে কাজ করে তাহলে একটা সুন্দর নারায়ণগঞ্জ গড়তে পারবো।’
সাবেক সংসদ সদস্য বলেন, ‘মস্তান, সন্ত্রাস ও খারাপ লোকদের না নিয়ে ভালো লোকদের নিয়ে রাজনীতি করবো। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আমরাই গণতন্ত্রের চর্চা করবো। দলের মধ্যে গণতন্ত্র না হলে দেশের জন্য গণতন্ত্র কাম্যকরা ঠিক না। শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে রাজনীতিমুক্ত রাখতে হবে। যিনি যে কাজে অভিজ্ঞ তাকে সে কাজই করতে দেওয়া হবে। গত ১৬ বছর যাবত বিগত সরকার দেশে যে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে, সেভাবে যেন আর কেউ ধ্বংস করতে না পারে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভেতর যেন অন্য কেউ ঢুকে শিক্ষকদের অপমাণিত করতে না পারে।’
মহানর জাসাস’র সভাপতি মো. স্বপন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত গণসমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন, জেলা জাসাস’র সভাপতি সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, বিশেষ অতিথি জাসাস কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম- আহ্বায়ক আনিসুল ইসলাম সানি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের জেলা সভাপতি এড. সরকার হুমায়ূন কবীর, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক এড. জাকির হোসেন, যুগ্ম-আহবায়ক আব্দুস সবুর খান সেন্টু প্রমুখ।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।